আজ ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কিশোরগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি মনির সম্পাদক মাসুদ নির্বাচিত

শফিক কবীর ঃ অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) শহরের জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর হলরুমে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘন্টা বিরতিতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোট গ্রহণ শেষে গননার কাজ শেষ হয় রাত সাড়ে দশটায়।
কিশোরগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র গৌরাঙ্গবাজার হতে পুরানথানা পর্যন্ত বিভিন্ন সাজে সজ্জিত রঙিন পোস্টার-ব্যানার ও প্রার্থী, কর্মী-সমর্থক এবং ভোটারদের মাঝে বিরাজ করে এক উৎসব আমেজ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো.আতিকুর রহমান পিন্টু জানান, কিশোরগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৮৮ জন। এর মধ্যে ৪৫১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচনে সভাপতি পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে মো. আসাদুজ্জামান খান মনির (হারিকেন) প্রতীকে ২৭৪ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আশিকুর রহমান রাজীব (বাইসাইকেল) পেয়েছেন ১৭৫ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে মো. মাসুদুজ্জামান মাসুদ (দেয়াল ঘড়ি) ৩১৯ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (রানা) পেয়েছেন ১৩১ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ পদে মোট ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে মোঃ কলিম আহম্মেদ (ফুটবল) ২২৩ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ জিল্লুর রহমান জুয়েল (আনারস) ১১৭ ভোট ও মঞ্জুরুল হক মঞ্জু (চশমা) পেয়েছেন ১১১ ভোট।

এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্যের ৪টি পদে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে জুনায়েদ হোসেন পিয়াস (মোমবাতি) ৩৭১ ভোট, মো. আরিফুর রহমান ভূঁঞা আকিল (হাতি) ৩৪৫ ভোট, মো. সেলিম রেজা সোহাগ (মোরগ) ২৫১ ভোট ও মো. রফিকুল ইসলাম (কলস) ২৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

উক্ত নির্বাচনে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো.এহতেশামুল হুদা মুনাব্বী।
প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে মো. মাহবুবুর রহমান বাদল এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে- নিজাম উদ্দিন শাহীন, ফেরদৌস আহমেদ, অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন রেনু ও বাবু অমল চন্দ্র রায় দায়িত্ব পালন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category