নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের উকিলপাড়ায় আপন চাচাতো ভাইকে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যাকারী জুবায়েরকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল।
মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যলয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম বার।
পুলিশ সুপার জানান,গত ২১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের উকিলপাড়ায় ময়মানসিংহ নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের আউতপাড়া গ্রামের আনেয়ারুল হক খন্দকারের ছেলে আবিদ হাসান রাহাত প্রতিদিনের মতো উকিল পাড়াস্থ (জুবায়ের হকের বোন) চাচাতো বোনের বাসায় প্রাইভেট পড়াতে আসে। একপর্যায়ে শহিদুল্লাহর ছেলে জুবায়েরও বাসায় এসে আবিদ হাসান রাহতের সংঙ্গে দ্বন্দ্বের লিপ্ত হয়।
দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া আবিদ হাসান রাহাতকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। জুবায়ের এর বাপ চাচারা ৭ ভাই, জুবায়েরের বাবা সব সময় রাহাত এর বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ নেন। এবিষয়টি জুবায়ের ভাল চোখে দেখে না। জুবায়ের ইচ্ছে ছিল কিশোরগঞ্জ শহরে তাদের একটা বাড়ি করতে। কিন্তু, জুবায়ের এর বাবা মা বড় ভাই রাহাতের বাবার কাছে যায় শহরে বাড়ি করার পরামর্শের জন্য। তখন রাহাত এর বাবা বাড়ি করতে নিষেধ করে।এ থেকেই জুবায়ের এর মনে ক্ষোভের জন্ম নেয়। ক্ষোভের বশবর্তী হয়েই ঘটনার দিন প্রথমে রাহাতকে পেটে ছুরিকাঘাত করে পরে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় জুবায়ের। প্রথমে সে ঢাকা তারপর নোয়াখালি পরে খুলনা হয়ে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলায় যায়। সেখান থেকে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ রাতে খালিয়াজুড়ি বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় আবির হাসান রাহাতের মা মাহমুদা সুলতানা বাদী হয়ে হত্যাকান্ডের পর দিন ২২ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় জুবায়েরকে ১ নং আসামী সহ চার জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
অপর তিন আসামীরা হলেন জুবায়ের এর মা মাহমুদা আক্তার,বাবা শহিদুল হক খন্দকার,ও চাচাতো বোন আরিফা সুলতানা। তারা ইতিমধ্যে আটক হয়ে জেল হাজতে আছে। এদিকে জুবায়েরকে গ্রেফতারের পর আজ দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
Leave a Reply