আজ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কব্জি বিচ্ছিন্নকারীদের দ্রুত বিচার দাবীতে বিভোক্ষ মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বেড়াটি (রায়খলা) গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম নয়নের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্নকারীদের দৃষ্টান্তমূলক দ্রুত বিচারের দাবীতে বিভোক্ষ, মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে উপজেলাবাসী।

২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে রফিকুল ইসলাম নয়নের উপর নির্মম বর্বরোচিত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির দাবীতে বক্তব্য রাখেন – কটিয়াদি পৌর আ.লীগের সভাপতি জগলুল হোসেন, নয়নের পিতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া, চাচাতো ভাই ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি রাসেল কবীর, আ.লীগ নেতা মেরাজ উদ্দিন সহ উপজেলার আরও অনেকেই।
মানববন্ধন শেষে কোর্ট প্রাঙ্গণ ও প্রধান সড়কে বিভোক্ষ মিছিল করে জেলা প্রশাসক বরাবরে ( ১/মাননীয় মন্ত্রী আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২/ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩/ মহা পুলিশ পরিদর্শক ৪/ উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক ও ৫/ পুলিশ সুপার কিশোরগঞ্জ) কে অনুলিপি দিয়ে একটি স্মারক লিপি প্রদান করে তারা।
উল্লেখ্য গত ১ ফেব্রুয়ারি রাত্র অনুমান ৮ ঘটিকার সময় জখমী মোঃ নয়ন মিয়া (৪৩) গচিহাটা বাজার হইতে সহশ্রাম ধুলদিয়া বাজারস্থর কাচারীপাড়া মুচি বাড়ির পুকুর পাড়ে পৌছামাত্রই পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আসামীরা ধারালো অস্ত্রাদি দ্বারা খুন করার উদ্দেশ্যে উপর্যপরি আঘাত করে মাথা শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম ও দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এবং জখমীর পকেট থাকা নগদ টাকা, গলার স্বর্ণের চেইন নিয়া যায়, সেইসাথে তার ব্যাবহৃত মোটর সাইকেলটিও ধ্বংস করে দেয়।
এসময় তার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আসিয়া জখমী নয়নকে গুরুত্বর অবস্থায় কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে নয়ন মুমুর্ষু অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এরই মধ্যে গত ৩ ফেব্রুয়ারি নয়নের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম (শরীফ) বাদী হয়ে  স্থানীয় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে কটিয়াদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বর্তমানে আসামীরা জেল হাজতে ও ৫ জন জামিনে রয়েছে।  বিরুদ্ধে অত্র মামলাটি
মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, আসামীরা এলাকায় গুরু বাহিনীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, অপহরণ ও দর্শনসহ একাধিক খুনের মামলার আসামী। খুন জখম করাই তাহাদের একমাত্র পেশা। আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা নাহওয়া পর্যন্ত আমরা কটিয়াদী উপজেলাবাসীর শান্তি ফিরে আসবে না, প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করতে প্রস্তুত রয়েছি।
এসময় কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও শতাধিক নিরীহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category