আজ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কিশোরগঞ্জে ভেজাল বিরোধী অভিযানে মদন গোপাল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে ভেজাল বিরোধী অভিযানে মিষ্টি, থান কাপর ও ইলেক্ট্রনিক্স দোখানে অভিযান চালিয়ে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতে।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জেলা শহরের রথখলা ও গৌরাঙ্গবাজারে “ওজন ও পরিমাণ মানদন্ড আইন, ২০১৮ “অনুযায়ী এই বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে শহরের রথখলায় বিভিন থান কাপড়ের দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে দোকানগুলোতে কাপড় পরিমাপের ক্ষেত্রে বিএসটিআই অনুমোদিত মিটার স্কেলের পরিবর্তে নন মেট্রিক গজকাঠি ব্যবহার, সনদবিহীন মিটার স্কেল ব্যবহার, কাপড়ের ক্রয়মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে কাপড় বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। এসব অনিয়মের প্রেক্ষিতে ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন, ২০১৮ এর ২৮, ৩২(১) ধারায় অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বাংলা ফ্যাশনকে ৫০০০/-,আধুনিক বস্ত্রালয়কে ৩০০০/-, জয় বস্ত্র বিতানকে ৫০০০/-, বসাক বস্ত্রালয়কে ২০,০০০/-, নারায়ণ বস্ত্রালয়কে ১০,০০০/- অর্থদণ্ড করা হয়। এসময় উপস্থিত সকল কাপড়ের ব্যবসায়ীদের বিএসটিআই অনুমোদিত মিটার স্কেলে কাপড় পরিমাপের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং উপস্থিত জনসাধারণকে কাপড় ক্রয়ের সময় সচেতন থাকার জন্য বলা হয়।
পরবর্তীতে গৌরাঙ্গবাজারের মিষ্টির দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে দই পরিমাপের ক্ষেত্রে পাতিলের ওজন ও দইয়ের ওজনে কারচুপির প্রমাণ পাওয়ায় মদন গোপাল সুইটমিটকে ১০,০০০/-, গৌরগোবিন্দ সুইটসকে ৫০০০/-, রাজমনি মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১০,০০০/- অর্থদণ্ড করা হয়। এ সময় সকল মিষ্টির দোকানদারকে দইয়ের পাতিলে পাতিলের ওজন ও দইয়ের প্রকৃত ওজন লিখে সঠিকভাবে বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়াও গৌরাঙ্গবাজারের বিভিন্ন ইলেকট্রিক দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বিভিন্ন দোকানে বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন নিম্নমানের ক্যাবল ও পরিমাপের সময় কম দেওয়া, বিএসটিআই অনুমোদিত মিটার স্কেলের পরিবর্তে হাত /গজ কাঠিতে পরিমাপের প্রমাণ পাওয়া যায়। এই প্রেক্ষাপটে ধ্রুব ইলেকট্রিককে ৫০০০/-, পলাশ ইলেকট্রিককে ১০,০০০/-, স্টার ভিডিও ও সাউন্ডকে ৫০০০/- অর্থদণ্ড করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কালেক্টরেটের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ উবায়দুর রহমান সাহেল। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই এর পরিদর্শক জনাব মোঃ নাজমুস সায়াদাত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন জেলা পুলিশ, কিশোরগঞ্জ এর একটি চৌকস দল।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উবায়দুর রহমান সাহেল সাংবাদিকদের জানান, এই অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৮৮,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
তবে, জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন, কিশোরগঞ্জ এর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category