নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ “কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় চাই” ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবি আদায়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে, ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আয়োজনে সকাল সাড়ে এগারোটায় গুরুদয়াল সরকারি কলেজের টিচার্স কনফারেন্স রুমে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি কলেজ ইউনিটের কোষাধ্যক্ষ মোঃ আবুল বাসারের সঞ্চালনায়, লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন – বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিক্ষা রূপান্তরের অন্যতম কারিগর শিক্ষা ক্যাডাররা। কিন্তু প্রাপ্য অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। অনেক কর্মকর্তা ১০-১২ বছর ধরে পদোন্নতি পাচ্ছেন না। পদোন্নতির মতো স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেও এই ক্যাডাররা অন্য ক্যাডারের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে, পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না এ ক্যাডারের সদস্যরা। দীর্ঘ সময় পর অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলেও যোগ্য সকল কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি। ২৯ বছর চাকরি করেও ‘যোগ্য’ কর্মকর্তাদের সহযোগী অধ্যাপক থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে দাবি করে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘বর্তমানে প্রায় সাত হাজার শিক্ষা ক্যাডার পদোন্নতিযোগ্য রয়েছেন। এর মধ্যে অধ্যাপক পদে এক হাজার ২০০ জন, সহযোগী অধ্যাপক পদে তিন হাজার জন ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য রয়েছেন প্রায় তিন হাজার জন। এসব কর্মকর্তা পদোন্নতিযোগ্য পদের বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় আছেন, অথাৎ তাদের পদোন্নতি দিলে সরকারের বাড়তি কোনো অর্থে প্রয়োজন হবে না। কিন্তু পদোন্নতি না পাওয়ায় এই শিক্ষা ক্যাডাররা চাকরিজীবনে হতাশা প্রকাশ করছেন, চাকরিতে সন্তুষ্টি পাচ্ছেন না।’
এছাড়া অন্য ক্যাডারের ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পেয়ে পরবর্তী পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন, ‘কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের ২৮ ব্যাচের অনেক কর্মকর্তা প্রভাষকই থেকে গেছেন।’
শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ১৬ হাজার সদস্য রয়েছেন। তারা সারা দেশের সরকারি কলেজ, শিক্ষা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ও অধিদপ্তরে কর্মরত রয়েছেন।
ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল ক্যাডারের জন্য সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দিয়ে ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের নির্দেশ দিয়েছেন বারবার, কিন্তু সে নির্দেশনাও মানা হচ্ছে না।
শিক্ষা ক্যাডার নেতারা বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে ‘প্রাপ্যতা’ অনুযায়ী পদোন্নতি হচ্ছে না, পদসৃজনও হচ্ছে না- এর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ছে শিক্ষায়। পদোন্নতি না পেয়ে শিক্ষকরা সামাজিকভাবে ‘অমর্যাদাকর’ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই ক্যাডারে দ্রুত পদোন্নতি দেওয়া না হলে আগামী ১০,১১ ও ১২ অক্টোবর তিন দিনের কর্মবিরতি সহ আরও বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে এসময় গুরুদয়াল সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মেহেদী হাসান, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, রষায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক স্বপন কুমার ঘোষ, বিসিএস কলেজ শাখার সম্পাদক আল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ সমিতির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply