আজ ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৬ গুণীজনকে সম্মাননা দিলো কিশোরগঞ্জ মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জে ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডাঃ এ এ মাজহারুল হক ও সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনে ৬ গুণীজনকে যৌথ ৬ষ্ঠ ও ৭ম বারের মতো সম্মাননার আয়োজন করে।

কিশোরগঞ্জের আইন পেশার কৃতিজন এডভোকেট নাসিরউদ্দিন ফারুকী, ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও শাহ আজিজুল হককে (২০২০) এবং ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক, পাঠ ও পাঠাগার আন্দোলনের অগ্রণীজন মু.আ. লতিফ,  মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষাবিদ ঊষা দেবী এবং শতবর্ষ অতিক্রমকারী ১২০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান আলীমুদ্দীন লাইব্রেরীকে (২০২১) সম্মাননা শীর্ষক আলোচনা সভা এবং মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম স্মরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৮ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তারের সভাপতিত্বে সম্মাননা বক্তৃতা রাখেন মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সিআইপি বাদল রহমান।
বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক মাসুদ ইকবাল, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা সিপিবির সভাপতি আব্দুর রহমান রুমি প্রমূখ।


উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের জীবিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জীবনব্যাপী বিশিষ্ট অবদানের স্বীকৃতি জানাতে ও ঐতিহাসিক মূল্যায়ন করতে ২০১৫ সাল থেকে এ সম্মাননা বক্তৃতা আয়োজন করা হচ্ছে, যা বক্তৃতা ও লিখিত আকারে প্রদান করেন মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. মাহফুজ পারভেজ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রথম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা পান শিক্ষাবিদ প্রাণেশ কুমার চৌধুরী, ২০১৬ সালে দ্বিতীয় সম্মাননা পান দীপ্তিমান শিক্ষকদম্পতি: অধ্যক্ষ মুহ. নূরুল ইসলাম ও বেগম খালেদা ইসলাম, ২০১৭ সালে তৃতীয় সম্মাননা পান ‘প্রজ্ঞার দ্যুতি ও আভিজাত্যের প্রতীক: প্রফেসর রফিকুর রহমান চৌধুরী’ এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ সম্মাননা পান ‘ঋদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র: শাহ্ মাহতাব আলী’ ও ২০১৯ সালে পঞ্চম সম্মাননা পান ‘স্বাস্থ্যসেবা-শিক্ষায় পথিকৃৎ চিকিৎসক-দম্পতি’ প্রফেসর ডা. আ ন ম নৌশাদ খান ও প্রফেসর ডা. সুফিয়া খাতুন। ২০২০ সালে ৬ষ্ঠ সম্মাননা প্রদান করা হয় নাসিরউদ্দিন ফারুকী, ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও শাহ আজিজুল হককে। কিন্তু বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রদান করা সম্ভব হয়নি।
যারা কিশোরগঞ্জের সামাজিক ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিন্যাসে স্বকীয় কৃতিত্বের প্রভায় উজ্জ্বল। জীবনব্যাপী কিশোরগঞ্জের মাটি ও মানুষের জন্য শৈল্পিক দ্যোতনায় নান্দনিক বর্ণালী সৃজন করেছেন এই তিন গুণান্বিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. এ এ মাজহারুল হক এবং রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজসেবা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্থা ‘মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন’ কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অবদানের স্বীকৃতি জানাতে ২০১৫ সাল থেকে সম্মাননা বক্তৃতা আয়োজন করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category