নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ জেলায় ৩য় ধাপে নতুন ঘরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে আরো ৬৭৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এনিয়ে জেলায় ৬৭৩টি ঘরসহ সর্বমোট ২ হাজার ১৯০টি ঘর পেয়েছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বেলা বারোটায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন ও মত বিনিময় সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম। তিনি আরো জানান, প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি খাস জায়গা কিংবা দখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করে। কিশোরগঞ্জ জেলায় ২০২০ সাল হতে অদ্যাবধি আশ্রয়ণ-প্রকল্পের আওতায় গৃহনির্মাণের জন্য প্রায় ৫১.৭৪ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭৬ কোটি ১২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
১৯৯৭ সালে ১৯ মে কক্সবাজারে পাশ্ববর্তী এলাকায় ঘুর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়ে বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। তখনকার প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং গৃহহীন পরিবারকে পুর্নবাসনের জন্য তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। ১৯৯৭ সনের “আশ্রয়ন” নামে প্রকল্পটি বর্তমানে ভূমিহীন-গৃহহীন-অসহায় ছিন্নমূল পরিবারকে পুর্নবাসন করা হচ্ছে। এবং মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না তার আওতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে আগামী ২১ জুলাই ৫২টি উপজেলা ও ২টি জেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হবে। তার মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলাটি জেলার মধ্যে প্রথম গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হবে। এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় ১ম ধাপে ৬১৬টি, ২য় ধাপে ৬৩১টি ও ৩য় ধাপে ৬৭৩টি ঘর প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৫৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে, ৩৫টি ঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
Leave a Reply