মোঃ আল আমিন, মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা:
নরসিংদীর পলাশে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মনির হোসেন (৪২) নামের এক যুবককে গলাকেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। হত্যার পর নিহতের বাড়ির উঠানে হাত, পা ও মুখ বাধা অবস্থায় মরদেহ ফেলে রাখা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ১ অক্টোবর শনিবার সকালে নরসিংদী জেলার পলাশের গজারিয়া ইউনিয়নের নরসিংহারচর গ্রামে। নিহত মনির হোসেন নরসিংহারচর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। মনির হোসেন নদীতে মাছ ধরার কাজ করতেন। পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি বিভিন্ন ইটাভাটায় মাটিকাটার কাজ করতেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১টার দিকে নিহত মনির হোসেনের মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসে। ওই সময় সে তাড়াহুড়া করে বাড়ির বাহিরে বের হওয়ার উদ্যোগ নেয়। ওই সময় তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম বাহিরে যেতে তাকে বাধা দেয় ও গায়ের শার্ট রেখে দেয়। কিন্তু স্ত্রীর বাধা উপেক্ষা করে স্ত্রীর ওড়না শরীরে জড়িয়েই মনির বাহিরে বের হয়ে যায়। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। ভোরে মনির হোসেনের পিতা জামাল উদ্দিন ফজরের নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হলে তখন বাড়ির উঠানে মনিরের হাত-পা বাধা গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশকে খবর দিলে সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই মহসিন বলেন, মোবাইলে ফোন করে ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে সকালে বাড়ির উঠানে তার জবাই করা লাশ দেখতে পাই। খুবই পাশবিক ভাবে নির্যাতন করে ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের কোন শত্রু নেই। বড় ভাই সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলাফেরা করতো। কেমনে কি হয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনিকে খুঁজে বের করে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শেখ রুমান বলেন, খুব সকালে আশপাশের মানুষের ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ঘরের দরজার সামনে মনিরের মরদেহ পড়ে আছে। তার হাত, পা, মুখ বেঁধে খুব নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমরা সবাই এই পাশবিক হত্যার বিচার চাই। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, রাতে ফোনে ডেকে নিয়ে কে বা কারা তাকে গলাকেটে হত্যা করেছে। আমরা হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। এ প্রতিবেদন লেখার আগে পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply