আজ ৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তাড়াইল উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামোয় উন্নয়নের ছোঁয়া

হুমায়ুন রশিদ জুয়েল তাড়াইল :  স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন ধরে তাড়াইল উপজেলার অনেক গ্রামে চলাচলের উপযোগী কোনো সড়ক ছিল না। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগে পড়তেন গ্রামবাসী। বর্ষা মৌসুমে কাদামাটির রাস্তা হয়ে চলাচল ছিল প্রায় অসম্ভব। অবশেষে সেই চিত্র বদলাতে শুরু করেছে।

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তাড়াইল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ লাঘব করা হয়েছে।

বিশেষ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার স্বচ্ছতা ও কঠোর তদারকিতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

এ বিষয়ে তাড়াইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,
“আমি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। অধিকাংশ কাজই মানসম্মত ও সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”

সরেজমিনে জানা যায়, তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৬৩টি ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে ৮৭টি প্রকল্পের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হলো
১নং তালজাঙ্গা, ২নং রাউতি, ৩নং ধলা, ৪নং জাওয়ার, ৫নং দামিহা, ৬নং দিগদাইড় ও ৭নং তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়ন।
এই ইউনিয়নগুলোর বহু কাঁচা রাস্তা, যেখানে বর্ষাকালে চলাচল ছিল অত্যন্ত কষ্টকর, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইটের সলিং রাস্তায় রূপান্তরিত হওয়ায় এলাকাবাসীর সীমাহীন ভোগান্তির অবসান ঘটেছে।

সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কর্তব্যপরায়ণতা ও কঠোর নজরদারির ফলে তাড়াইল উপজেলার গ্রামীণ জনপদের চিত্র যেমন বদলাচ্ছে, তেমনি প্রশাসনিক কার্যক্রমেও এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, স্থানীয় সচেতন মহল ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বেড়েছে, জনভোগান্তি কমেছে এবং জনসেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।

একইসঙ্গে এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ ও সমাজের সচেতন মহল।

এ বিষয়ে তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা আক্তার বলেন,
“উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। এই লক্ষ্য সামনে রেখে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নের অসহায়, দুঃস্থ ও গরিব মানুষ যেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এতে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে গতি আসবে এবং সামগ্রিক উন্নয়ন আরও এগিয়ে যাবে বলে আমার একান্ত বিশ্বাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category