নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে বাড়ি থেকে বের হয়ে ৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন মো: ওমর ফারুক (৩১) নামের এক বিকাশ কর্মী। পরিবারের দাবি, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল চত্বরে মানববন্ধন করে গ্রামের বিল্লাল মিয়া, সবুজ মিয়া ও রুবেলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ তোলেন নিখোঁজ ওমর ফারুকের বাবা মো: জসীম উদ্দিন, ছোট ভাই মোশাররফ হোসেন, স্ত্রী ফাহমিদাসহ পরিবারের লোকজন। বিল্লাল ও সবুজ নিখোঁজ ওমর ফারুকের প্রতিবেশী ও সম্পর্কে চাচা হয়। আর রুবেল চাচাতো ভাই।
শহরের আখড়া বাজার ব্রিজ সংলগ্ন চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ওমর ফারুকের গ্রামের লোকজনও অংশ নেন।
নিখোঁজ ওমর ফারুক কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের মধুনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২ মেয়ের বাবা।
স্থানীয়রা জানান, ওমর ফারুক ভালো মানুষ। তিনি হারিয়ে যাওয়ার কথা নয়। হঠাৎ করে তার নিখোঁজের ঘটনা রহস্যজনক। তাকে খুঁজে পেতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
ওমর ফারুকের বাবা জসীম উদ্দিনসহ পরিবারের লোকজন জানান, বিল্লাল সবুজ ও রুবেলদের সঙ্গে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এ নিয়ে মারামারিও হয়।
গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওমর ফারুক শহরে বিকাশ অফিসে যায়। অফিস ও বাইরের কাজ শেষে বিকাল ৪ টার দিকে বাড়ি ফিরে আসে। পরে সন্ধ্যার আগে তিনি আবার অফিসের কথা বলে বের হন। এরপর থেকে আর তার খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ হওয়ার পর ওমর ফারুকের বাবা জসীম উদ্দিনের কাছে একটি নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
ওমর ফারুকের বাবা ও ভাইয়ের অভিযোগ, এ বিষয়ে তারা কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেয়নি। ১১ ঘণ্টা পর থানায় শুধু একটি জিডি নেয়া হয়। জিডি নিলেও পুলিশ ওমর ফারুককে উদ্ধারে কাজ করছে না।
ওমর ফারুকের স্ত্রী ফাহমিদা বলেন, আমার স্বামী যেখানেই থাকুক আমি তাকে জীবিত ফেরত চাই। স্বামীকে ফিরে পেতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চান ফাহমিদা।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি না এটা ঠিক নয়। ওমর ফারুককে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের কাছে অপহরণের অভিযোগ করা হয়নি।
Leave a Reply