আজ ১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো আব্দুল হালীম হুসাইনী (রহঃ) হুজুরের ৫৭ তম তালিমী জলসা

এম এ হান্নান পাকুন্দিয়া প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের পীরে কামেল পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন পীরে কামেল হযরত মাওলানা আলহাজ্ব আবু বকর আব্দুল হালীম হুসাইনী (রহঃ) হুজুরের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তালিমী জলসা

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি জামিয়া হুসাইনিয়া আসআদুল উলুম কওমী ইউনিভার্সিটি ময়দানে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ৫৭ তম ইসলাহী ও তালিমী জলসা।

আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন হজরত মাও. মো. জসীম উদ্দিন হাটহাজারী। মোনাজাতে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আব্দুল হালীম হুছাইনী প্রতিষ্ঠিত জামিয়া হুসাইনিয়া আসআদুল উলুম কওমী ইউনিভার্সিটি ময়দানে গত রোববার এই ইসলাহী ও তালিমী জলসা শুরু হয়। এতে পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন।

এবারের ইসলাহী ও তালিমী জলসায় প্রায় দুই হাজার হুসাইনিয়া স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেন। এতে দেশের বিশিষ্ট দ্বীন ও উলামায়ে কেরামগণ বয়ান রাখেন।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামে উপমহাদেশর প্রক্ষাত আলেমে-দ্বীন পীরে কামেল আলহাজ্ব হজরত মাওলানা আব্দুল হালিম হুসানী (রহ.) মাদ্রাসাটির গোড়াপত্তন করেন ১৯৬২ সালে। দীর্ঘদিন যাবৎ মাদ্রাসাটি দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে।

মাদ্রাসার নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির হিসেবে প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের প্রথম রবি ও সোমবার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ইসলাহী ও তালীমী জলসা এবং মঙ্গলবার সকালে আখেরি মোনাজাত এর মাধ্যমে শেষ হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ৫৭তম বার্ষিক ইসলাহী ও তালীমী জলসা যা মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে হয়েছে।

জলসায়  দেশ-বিদেশের বিখ্যাত ওলামায়েকেরাম ওয়াজ-নসিহত পেশ করেন। দুই দিনব্যাপী জলসায়  জিকির-আজকার ও মুসল্লিদের ইবাদত-বন্দেগিতে এলাকা ছিলো মুখরিত।
জলসায় আখিরী মোনাজাত পরিচালনা করেন চট্রগ্রাম হাটহাজারীর পীরে কামেল আলহাজ হজরত মাও. মুফতি জসিম উদ্দিন।
জলসায় প্রতিবছরের মতো এবারও দাওরায়ে হাদিস, ইফতা, তাফসির, হিফজ ও ক্বেরাত বিভাগ সমাপ্তকারী উত্তীর্ণ ছাত্রদের সম্মানসূচক পাগড়ি ও সনদ প্রদান করা হয়। জলসায় সর্বস্তরের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, আলেম-উলামারা অংশ করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category