ফ্রাঙ্কফুর্টের সেই অপেক্ষাঘরে
সময় যেন মাইক্রোফোনে বাঁধা-
“বিজনেস ক্লাস আগে, ইকোনমি পরে”
এই ঘোষণাই যেন পৃথিবীর এক অনন্ত বিভাজনরেখা।
আমার ভেতরে ভেসে ওঠে
সেই অন্ধকার সিনেমা হলের ধুলো-মাখা গন্ধ,
৯০-এর দশকের ভাঙাচোরা চেয়ার,
আর মাথা উঁচু করে, ঘাড়ে ব্যথা জমিয়ে
পর্দার নিচ থেকে উপরে তাকানো অসহায় মানুষ।
তাদের চোখে ঝিলমিল করে
অন্য কারো সামর্থ্যের আলো,
যা তাদের জন্য নয়, কখনোই নয়।
আজ আমি বিমানবন্দরের চেয়ার ধরে বসে আছি
একই অসহায়তার পুনর্জন্ম হয়ে।
যেন পৃথিবী সবসময়ই
একটি লম্বা লাইনে সাজানো টিকিট-
প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়,
আর শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা
অগণিত অনামা মুখ।
বিমানের জানালার ওপাশে
ডানা মেলে যায় ধাতব পাখি,
কিন্তু আমার বুকের ভেতর
ডানা মেলে না কোনো মুক্তি।
আমি কেবল অপেক্ষা করি-
সেই ঘোষণার জন্য,
যেখানে আমার নাম ডাকা হবে না কখনোই।
তখন মনে হয়-
আমি এক অন্তহীন সিনেমার চরিত্র,
যেখানে ঘাড় উঁচু করেই
দুঃখের আকাশ দেখা ছাড়া
কোনো বিকল্প নেই।
Leave a Reply