নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গঠনতন্ত্রের ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির পক্ষে আপোষহীন ও বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সভাপতি প্রার্থী রুহুল হোসাইন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এই দাবী ব্যাক্ত করেছেন।
সভাপতি পদপ্রার্থী রুহুল হোসাইন বলেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। ‘বিএনপির গঠনতন্ত্রের ১৫ ধারায় উল্লেখিত বিশেষ বিধান মতে ‘এক নেতা
এক পদ নীতি’ বাস্তবায়ন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই দলীয় কর্মকান্ডকে গতিশীল করতে একাধিক পদে যারা আছেন তার এই বিধানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এক পদ রেখে বাকিগুলি থেকে পদত্যাগ করা উচিৎ।’
বর্তমান সভাপতি ও কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলমকে উদ্দেশ্য করে রুহুল হোসাইন বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের সাতটি জেলার সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও নিজের ব্যাবসার কারণে উনাকে প্রায়শই দেশ-বিদেশে ব্যস্ত থাকতে হয় বিধায় জেলার রাজনীতিতে সময় দিতে পারেন না। তাই জেলার রাজনীতির প্রকৃত চিত্র জানতে অন্যের মনগড়া কথার উপর নির্ভর করতে হয়। এর ফলে ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে দলের এক শ্রেণীর নেতা-কর্মীরা অনৈতিক ও অপরাধমুলক জড়িয়ে পড়ে দলকে বিতর্কিত করছে।
রুহুল হোসাইন আরও বলেন, বর্তমান অচলাবস্থা নিরসনে ১৩ উপজেলা নিয়ে গঠিত বিশাল কিশোরগঞ্জ জেলায় বিএনপির রাজনীতিকে নিয়মাতান্ত্রিক রাখতে জেলা সদর থেকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকবে এমন কাউকে সভাপতি হওয়া উচিৎ মনে করে আমি প্রার্থী হয়েছি।
মতবিনিময় সভায় এসময় বিএনপি নেতা আবু নাসের মিন্টু হিলালী ও অসীম সরকার বাধনসহ বিএনপি ও সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply