নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে ইসকনের হামলায় আইনজীবী নিহতের প্রতিবাদে ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও ইসলামি তৌহিদী জনতা।
বুধবার ২৭নভেম্বর বিকেলে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে থেকে সম্প্রীতি সমাবেশের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে পুনরায় একি স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ইসকন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। গত কয়েকদিন তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। আমরা দেখছি কোনো ভাবেই সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। চট্টগ্রামের আদালতে এমন পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হলো, আগে থেকেই কেন নিরাপত্তা জোরদার করা হলো না। সরকারকে বলব আপনারা দেশ চালাতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। গত কয়েক দিন যাবত দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাই, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করুক। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও ইসকন যৌথভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করতে পারে, তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ভারত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়, সেটা হতে দেওয়া যাবে না।
চট্টগ্রাম কোর্ট প্রাঙ্গণে ইসকনের উগ্রবাদী সদস্যরা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোথায় ছিল? কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীরা যদি নিরাপদে না থাকে তাহলে কোথায় তারা নিরাপদে থাকবে। ইসকনের উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই সব উগ্রদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
এদিকে জেলা শহরের শহীদি মসজিদের সামনে থেকে বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল সারা শহর পদক্ষিন করে পুনরায় একি স্থানে ঘন্টাব্যাপী রাস্তা অবরোধ করে স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভ করতে থাকে, এতে স্থবির হয়ে পড়ে যান চলাচল।
Leave a Reply