নিজস্ব প্রতিনিধি :কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে কৃষক নিবু মিয়া হত্যা মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।
গ্রেফতার আসামীরা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মো. রহিম উদ্দিনের ছেলে ইলেকট্রিশিয়ান মো. বাবুল মিয়া, একই গ্রামের মৃত নিবু মিয়ার (নিহত কৃষক) ছেলে অটো চালক মো. সোহেল মিয়া, বরকান্দা গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে কসাই মো. নজরুল ইসলাম, ডুয়াইগাঁও গ্রামের মো. ফালু মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রি মো. সুমন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, নিহত নিবু মিয়া জমি বিক্রি করে আসামী মো. সোহেল মিয়াকে বিদেশে পাঠায়। কিন্তু বিদেশে কিছু করতে না পেরে দেশে চলে আসে। পরে এনজিও থেকে লোন নিয়ে একটি অটো রিক্সা কিনেন। কিন্তু কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বাবাকে টাকার জন্য চাপ দিলে বাবা অস্বীকৃতি জানান। পরে ছেলে গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাতের কোনো একসময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিহতের ছেলে মো. সোহেল মিয়া মাথায় এবং মো. বাবুল মিয়া ও মো. সুমন মিয়া পায়ে ধরে রাখে এবং কসাই মো. নজরুল ইসলাম ধারালো ছুরি দিয়ে নিবু মিয়াকে জবাই করে উপজেলার সুলতানপুর এলাকার তেলিবাড়ী বনে বিএডিসি সেচের ড্রেনের মধ্যে জাবাই করা মৃত দেহটি ফেলে চলে যায়।
এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর বাজিতপুর থানায় নিহতের বড় ছেলে আব্দুর রহমান হৃদয় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ তৎপর হয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে
গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাজারের আব্দুল হাই মেম্বারের হোটেল থেকে মো. বাবুল মিয়া (৩২)কে, আটক করে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডের আলামত রক্তাক্ত ছুরি ও জড়িত মো. সোহেল মিয়া (২৪), মো. নজরুল ইসলাম (৪৫) ও মো. সুমন মিয়া (২৬) কে গ্রেফতার করে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাদ) আল-আমিন, বাজিতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুরাদ হোসেনসহ পুলিশের অন্যান কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply