নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কৃতিসন্তসন বীর বিক্রম মতিয়র রহমানের ১৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। বীর বিক্রম মতিয়র রহমান ২০১১ সালের ৬ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি নিজের এলাকায় এসে ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করতে থাকেন। পরে তিনি ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে বড়ছড়া সাব-সেক্টরে পাঠানো হয়। পরে তিনি কোবরা কোম্পানির যোদ্ধাদের নিয়ে ৩ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন কিশোরগঞ্জ এলাকায় আসেন। ২০ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী এবং ৯ নভেম্বর করিমগঞ্জ ও ইটনায় তিনি যুদ্ধ করেন। ২৭ নভেম্বর তাঁর কোবরা কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধারা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অষ্টগ্রাম মুক্ত করে কিশোরগঞ্জের ভাটি এলাকায় এক বিরাট মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলেন। গচিহাটাতেও তাঁর কোবরা কোম্পানি কৃতিত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। বীর বিক্রম মতিয়র রহমান ৬ অক্টোবর ২০১১ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে এক মেয়ে সহ অসংখ্য আত্নীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। দুঃখের বিষয় তার সহধর্মিণীও গত ১১ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার মৃত্যু বরন করেন। বর্তমানে
উনার ছেলে মুশফেকুর রহমান জোসেফ এনবিআর এ রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে মাদারীপুরে কর্মরত, মেয়ে তাহমিনা সুরভীন জেনী ঢাকা উত্তরায় স্বামীর সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে বসবাস করছে।
মতিয়র রহমার বীর বিক্রমের মৃত্যুর ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও তার স্মৃতি রক্ষায় সরকারি বা বেসরকারি কোন উদ্যোগই বাস্তবায়িত হয়নি নিকলীতে।
বীর বিক্রম মতিয়র রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরই মরহুমের কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে থাকে ‘বীর বিক্রম মতিয়র রহমান স্মৃতি সংসদ’ এবং পরিবার ও উপজেলা বিএনপি।
এবছরও তার ব্যাতিক্রম নয়, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বীর বিক্রম মতিয়র রহমানের শ্যালক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান। আজ রবিবার বিকেলে নিকলী সদরে শহীদ সরণীকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ” বীর বিক্রম মতিয়র রহমান” একাডেমিক ভবনের হলরুমে মরহুমের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
Leave a Reply