নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বান-ভাসী মানুষের সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের জন্য, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ আরশ আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, ৯ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক হরিপ্রসাদ মিত্রের প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে জানান, দেশের পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে সিলেট বিভাগের সকল জেলা অর্থাৎ সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভী বাজার এবং হবিগঞ্জ জেলায় এ বৎসর পাহাড়ী ঢল এবং উজানের পানি প্রবাহের কারণে বারবার বন্যায় মানুষ ব্যাপক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে। বহু মানুষের ঘরবাড়ী ভেঙ্গে গেছে এবং ফসল ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ২ দফা বন্যার কারণে সাধারণ মানুষ খাবার এবং পানীয় জলের সংকটে পড়েছে। ত্রাণ সামগ্রী যা পাওয়া যাচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বারবার বন্যার কারণে দৈনিক রোজগারী মানুষ বিশেষ করে দিন মজুর, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, অটোচালকসহ ছোট দোকানদার, দোকান কর্মচারী অর্থাৎ শ্রমজীবী পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতেও সকল আশ্রয় গ্রহণকারী মানুষ পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছে না। সিলেট অঞ্চলের অনেক রাজনৈতিক দলের শাখা বিশেষ করে গণতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার এক জরুরী সভা গত ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র খোলা, আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরবর্তী ফসল উঠার আগ পর্যন্ত ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রদানের দাবী জানানো হয়। বন্যা কবলিত এলাকাকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান, কৃষি বীজ ও কৃষি সামগ্রী প্রদানের জন্য জোর দাবী জানান।
৩য় দফা বন্যার আশঙ্কায় সিলেট বিভাগকে দুর্গত এলাকা ঘোষনা করে মানুষের দৈনন্দিন সাধারণ চাহিদা তথা অন্ন-বস্ত্র-চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবীও জানিয়েছেন।
অন্য দিকে দেশের উত্তরাঞ্চলে উজান থেকে পানি আসার কারণে সেখানেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। এমতাবস্থায় দেশের বান-ভাসী মানুষের জন্য স্বল্প মেয়াদী কর্মসূচীসহ স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশের সকল নদ-নদী ডেজিং করে নাব্যতা সৃষ্টি, হাওর-বাউর এ পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য মাষ্টারপ্ল্যান তৈরী করে দেশী বিদেশী কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় তা বাস্তবায়ন করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
পাকিস্তান আমল থেকে দেশের সকল মুক্তিকামী মানুষের দাবী বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান। বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার আগে এবং পরে বন্যা সমস্যার সমাধানের জন্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। বর্তমান ১৪- দলীয় জোট সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে আমাদের জোরদাবী স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের বানভাসী মানুষকে রক্ষা করে বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বাস্তব সম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
Leave a Reply