নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের হাওরে অভিযান চালিয়ে ৬ নৌ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ইটনা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ইটনা উপজেলা এলংজুরী ইউনিয়নের ধনু নদীর কুলিরভিটা কাশবন হাওরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সর্দার তাইজুল ইসলাম, পলাশ মিয়া, মো. ইব্রাহিম মিয়া, মো. উজ্জল মিয়া, মো. নুর আলম ও নাজিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা, ইটনা উপজেলার এলংজুড়ি সোনাকান্দা গ্রামের মামছুল মিয়ার পুত্র তাজুল ইসলাম (২৭), এলংজুড়ি মর্দাপাড়া এলাকার রমজান আলীর পুত্র পলাশ মিয়া (৩৫), মিঠামইন উপজেলার সোনপুর গ্রামের মোঃ হানিফ মিয়ার পুত্র মোঃ ইব্রাহিম মিয়া (৩৮), একই উপজেলা অলুয়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের পুত্র মোঃ উজ্জল মিয়া (৪১), মহিষার কান্দি গ্রামের মোঃ মতিউর রহমান পুত্ৰ মোঃ নূর আলম (৩০), ইটনা উপজেলার এলংজুড়ি মনসন্তোষপাড়া গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র নাজিম উদ্দিন (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোস্তাক সরকার জানান, গত ১৫ আগস্ট উপজেলার ধনু নদীতে যাত্রীবাহী একটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্র সহ বিভিন্ন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ও বিভিন্ন ব্রান্ডের ১০টি মোবাইলফোন লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ইটনা থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়।
পরে ইটনা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আহসান হাবীবের নেতৃত্বে অভিযান অব্যাহত রাখায় আজ সকালে ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, চাপাতি, রামদা, লোহার পাইপ, হাঁসুয়া, বাঁশের লাঠি, টর্চলাইট, প্লাস্টিকের চটের বস্তা ও নগদ ১১ হাজার ৩’শত ৫০ টাকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ স্বীকার করেছে অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত ৪ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) আলামিন হোসাইন, সহকারী পুলিশ সুপার অষ্টগ্রাম সার্কেল সামুয়েল মারমা, ইটনা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আহসান হাবীবসহ অন্যান্যরা।
Leave a Reply