মোঃ আল আমিন, মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি:মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে নরসিংদীতে ছাত্রলীগের ছয় নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। গত ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা হলেন মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুজন ভূঁইয়া, পলাশ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. নাসিম মিয়া, সদর উপজেলার পাইকারচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি শরীফুল ইসলাম, মনোহরদীর কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জে এস জুনাইদ, পলাশের জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ও বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিব আহমেদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠনের নীতি ও আদর্শবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকায় তাঁদের দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কারের অনুরোধ করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর বহিষ্কৃত নেতারা তাঁদের নিজেদের ফেসবুক আইডিতে তাঁর ছবি ও সংবাদ শেয়ার করে শোক প্রকাশ করেন। কেউ কেউ তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। সাঈদীর মৃত্যুর দিন রাতে এবং পরদিন সকালে তাঁরা নিজ নিজ ফেসবুকে পোস্টগুলো দেন। বিষয়টি নিয়ে দল ও সংগঠন থেকে সমালোচনা শুরু হলে পোস্টগুলো মুছে ফেলেন তাঁরা।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম জানান, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতারা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ‘বেহেশতের মেহমান’, ‘কুরআনের পাখি’সহ নানা ধরনের উপমা দিয়ে প্রশংসা করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। ছাত্রলীগের রাজনীতি করে জামায়াত নেতার প্রশংসা করার মানে হলো তারা হলো শিবিরের রাজনীতির সাথে জরিত, ওই ব্যক্তিরা ছাত্রলীগের কমিটিতে এত দিন ঘাপটি মেরে ছিল। যেহেতু তাঁরা দলের আদর্শবহির্ভূত কাজ করেছেন, তাই তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
Leave a Reply