আজ ৩রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কিশোরগঞ্জে ১৫৫২ মাদক কারবারি আটক, তবুও ব্যবসা রমরমা 

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সরকারের জিরো টলারেন্স এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত ধারাবাহিক অভিযানের পরও ঠেকানো যাচ্ছে না মাদকের বিস্তার। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধার করছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। আটক করছে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের। নিয়মিত মামলায় প্রেরণ করা হচ্ছে কারাগারে।

কিশোরগঞ্জে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২০২২ ইং সনে (৩৬৫ দিনে) নারীসহ ১৫৫২ মাদক কারবারিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে র‌্যাব, পুলিশ, ডিবি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

বছরের ১২ মাসে ১,০৬,৯৪১ পিস ইয়াবা, ৩০০ গ্রাম ৮১ পুরিয়া হেরোইন, ১,৩০৯,৮৭ কেজি গাঁজা, গাছ ৫ টি, ৬৫২ বোতল ফেনসিডিল, ৫৫২ বোতল বিলাতীমদ, ১,৮৬৯.৭৫ লিটার চোলাইমদ, ২৬ বোতল স্কাপ, ৪০ লিটার জাওয়া, ৩০০০ মি.লি. হুইস্কি ও ৬৬ পিস ইনজেকশনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এই সময়ে পরিচালনা করা হয় ১৩৬৯ টি অভিযান। মামলা করা হয় ১২৩৪ টি আর গ্রেপ্তার করা হয় ১৫৫২ জনকে।

এরমধ্যে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ১৫১ টি অভিযান পরিচালনা করে ১১৯ টি মামলায় ১৭১ জনকে কারাগারে ও ( ২২৮.৭৯ কেজী গাঁজা, ৬২,৮৫৫ পিস ইয়াবা, ৫৪ বোতল বিলাতীমদ, ৩০ গ্রাম হেরোইন, ৪১৬ বোতল ফেনসিডিল, ৫০২ লিটার চোলাইমদ ও ৬৬ পিস ইনজেকশন ) মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি),থানা ও হাইওয়ে পুলিশ -৮৪২ টি অভিযান পরিচালনা করে ৭৬৯ টি মামলায় ১০০৯ জনকে কারাগারে ও ( ৭৬৯.১২৩ কেজী গাঁজা, গাঁজার গাছ ০৫ টি, ৩৭৯৮৪ পিস ইয়াবা, ৪৩২ বোতল বিলাতীমদ, ১২২ বোতল ফেনসিডিল, ৯৮৪ লিটার চোলাইমদ, স্কাপ ২৬ বোতল, জাওয়া ৪০ লিটার, হুইস্কি ৩০০০ মি.লি. ) মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে।

ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ৩৭৬ টি অভিযান পরিচালনা করে ৩৪৬ টি মামলায় ৩৭২ জনকে কারাগারে ও ( ৩১১.৯৫১ কেজী গাঁজা, ৬,১০২ পিস ইয়াবা, ৬৬ বোতল বিলাতীমদ, ৮১ পুরিয়া হেরোইন, ১১৪ বোতল ফেনসিডিল ও ৩৮.৩৭৫ মি.লি. চোলাইমদ) মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে।


মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি গড়ে প্রতি মাসে মাদকের ঘটনায় ১০৩ টি মামলা ও ১২৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে নিয়মিত মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করলেও থেমে নেই মাদক কারবারি ব্যবসা ও মাদকসেবীর সেবন। আটক হওয়া আসামিরা জেল থেকে ছাড়াপেয়েই জড়িয়ে পরছে সেই রমরমা ব্যবসায়।

উদ্ধার করা মাদকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, বিদেশি মদ ও চোলাইমদ।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) বলেন, দেশে সংঘটিত বেশির ভাগ অপরাধের পেছনে রয়েছে মাদক। পারিবারিক নৃশংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনার পেছনেও রয়েছে মাদক।
মাদকের জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিনই মাদক ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। আমরাও সেভাবে অভিযান পরিচালনা করে মাদক উদ্ধারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করছি। মাদক নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category