নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সারাদেশে চলমান সংকটাপন্ন রাজনৈতিক ব্যাবস্থা, দ্রব্যমুল্যের অস্থিরতা ও দেশের অচলাবস্থায় কিশোরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (৫সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটায় জেলা শহরের ঈশাখা রোডস্থ বিএনপি’র কার্যালয়ে সারাদেশে (পুলিশ ও আওয়ামীলীগ কর্তৃক) বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অকারণে খুন হামলা মামলা ও হয়রানির অভিযোগ এনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
কিশোরগঞ্জ, পাকুন্দিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত অনেক নেতাকর্মী এরমধ্যে রবিবার শ্রাবনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে দেখি কি করোন অবস্থা, তার শরীরে বুলেটের আঘাত একটি ইঞ্চি জায়গাও খালি নেই।
এই নেতা কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলার ও প্রতিটি বুলেটের জবাব বাংলার মাটিতে একদিন না একদিন দিতেই হবে, সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার যদি ৪০ বছর পর হতে পারে তবে, এসব খুনের বিচার হবে একদিন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কড়া হুঁশিয়ারিতে বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে প্রজাদের উপর লাঠিচার্জ ও গুলি চালাবেন, যাকে খুশি তাকে মামলায় জড়িয়ে দিবেন এটা হতে পারে না। পাকুন্দিয়ার ঘটনায় দেড় হাজারের অধিক আসামি করে মামলা হলো তাতে ১’শত নং আসামি দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশের বাহিরে। পাকুন্দিয়া এলাকাটি আজ পুরুষ শুন্য এমনকি ৫/৭ বছরের একটি শিশু নেই, আছে শুধু কসাই আর কসাই যারা গরু-ছাগলের মতো মানুষকে কোপাতে পারে।
মির্জা আব্বাস আরো বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে পাকুন্দিয়ার ঘটনার খোঁজখবর নিতেই আজ কিশোরগঞ্জে আশা। তারেক রহমান তার দুই হাত খুলে দিয়েছেন যার যা প্রয়োজন সব কিছুই দিতে তিনি প্রস্তুত। তাই ঐক্যবদ্ধ থেকে এই অবৈধ সরকার না হঠানো পর্যন্ত যে কোন আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে, ধৈর্যের সঙ্গে সবকিছুর মোকাবেলা করতে হবে।
এ সময় কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক’সহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply