আজ ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ত্রিশালে ২১আগস্ট ভয়াভহ হত্যাযজ্ঞের দিবস পালিত

ফা‌তেমা শবনম ত্রিশাল(ময়মন‌সিংহ)প্রতি‌নি‌ধি :  ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন আলাদা আলাদা ভাবে বিভীষিকাময় সেই ২১ আগস্ট নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিবসটি পালন করেছে। ১৭ বছর আগে ২০০৪ সালের এই দিনে ২১ আগস্ট
ঠা ঠা শব্দে গ্রেনেডের বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। তুলারমত উড়তে থাকে আহত নিহত মানুষের শরীরের অংশ আর্তনাদ আর কাতর ছোটাছুটিতে সেখানে তৈরি হয়েছিল এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি।

সেদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলপূর্ব সমাবেশে দলের প্রধান বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে ঘাতকরা। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিকেরও বেশি।

যারা আজ অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছেন। অনেকেই আজও ফিরে পাননি স্বাভাবিক জীবন । গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন জীবনের শেষ প্রান্তে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
দেশ থেকে আওয়ামীগকে ধংস করার ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর সারা দুনিয়ায় আরেকটি ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়াবহ সেই হামলা বাঙালি জাতি কোনোদিনও ভুলবে না।

২হাজার ৪সাল থেকে দিনটি “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস” হিসাবে পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের মতে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, ২১ আগস্টের ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা সিনেমার শুটিং মত ভয়াবহ দৃশ্য দেখা গেলেও বাস্তবে ঘটিয়েছিল।

১৯৭৫ সাল ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালে ২১আগস্ট দিবস দু’টি কালো দিবস হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন গুলো যথাযথ মর্যাদায় দিবস দু’টি পালনে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেন তারই ধারাবাহিকতায়
ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগ দুপুরে এক আলোচনা সভা আহবান করেন। উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউল হক সবুজের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন বিএসসির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ সরকার। দুপুর ৩টায় উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত নিজস্ব কার্যালয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।ঐদিকে বিকেল ৪ টায় উপজেলা তাঁতিলীগের উদ্যোগে গেনেট হামলা দিবসের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাসভবনে আয়োজিত তাঁতিলীগ সভাপতি নিয়ামত খানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মিন্টুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ সদস্য ও ধর্মমন্ত্রণালয় সম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী এমপি। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকন্দ, সাবেক সাধরারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফজলে রাব্বী, উপজেলা আওয়ামীলী যুগ্ম আহবায়ক শোভা মিয়া আকন্দ, যুগ্ম আহবায়ক সাবেক উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম মন্ডল, যুগ্ম আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন বিএসসি ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category