নিজস্ব প্রতিবেদক : ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও ছাত্রজনতা।
১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর শহরের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একি স্থানে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ পালন করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা সবাই হাদি হবো, প্রয়োজনে জীবন দিবো’ ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও, রুখে দাও’ এবং ‘এক হাদি লোকান্তরে, লক্ষ হাদি ঘরে ঘরে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকশ মানুষ অংশ নেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যু পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন। তাঁরা দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
দীর্ঘ সময় অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন তরুণ আলেম মাওলানা কে এম নাজিম উদ্দিন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভি চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল প্রিন্স এবং গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মুদাছির তুসি। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা আশরাফ আলী সোহান।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে শরীফ ওসমান হাদীর মাথায় সন্ত্রাসীরা গুলি করে গুরুতর আহত করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
Leave a Reply