
নিউজ ডেস্ক : শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ইংল্যান্ডের হাউজ অফ লর্ডে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
নর্থ্যাম্পটন ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিজনেস চেম্বারের আয়োজনে, গতকাল ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাংলাদেশের ৫৫তম বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে বিজয়ের আনন্দে মুখর ছিল লন্ডনের হাউস অব লর্ডস-এর কমিটি রুম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনের পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, কমিউনিটি লিডার এবং স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশের সম্মানসূচক কনসাল জেনারেল ড. ওয়ালি তাসার উদ্দিন এমবিই, ডিবিএ, ডি.লিট-এর অসামান্য অবদানকে বিশেষভাবে সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন নর্থ্যাম্পটন ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিজনেস চেম্বারের সেক্রেটারি মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। এরপর পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন।
এতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশী হাউস অব লর্ডসের সদস্য, সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর, ব্যবসায়ী নেতা, পেশাজীবী এবং কমিউনিটি প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। স্কটল্যান্ড থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন আগামী স্কটিস পার্লাম্যান্ট নির্বাচনে আলবা পার্টি স্কটল্যান্ডের সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থী আবু মিরন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম ডি মতিন ও আব্দুল মোতালিব চৌধুরী।

হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জার এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, নর্থ্যাম্পটন টাউন কাউন্সিল ও ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিজনেস চেম্বারের প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলর নাজ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ও কমিউনিটি পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মুজাহিদ খান এমবিই ডিএল, ব্যারোনেস পোলা উদ্দিন, মাইক রিডার এমপি, আপসানা বেগম এমপি, মিসেস রুহালি উদ্দিন (ইবিএফসিআই), কাউন্সিলর ওহিদ আহমেদ, কাউন্সিলর রীতা বেগম, প্রফেসর ড. সানাওয়ার চৌধুরী, অলি খান এমবিই, মিতু চৌধুরী, টিপু রহমান, রফিক হায়দার, শাহাগীর বখত ফারুক, প্রফেসর ড. রইস আলী, কামাল ইয়াকুব, ড. মিশবাউর রহমান ও সালিম শরীফ।
বক্তারা বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে এবং ব্যবসা, দাতব্য কার্যক্রম ও কমিউনিটি নেতৃত্বে ড. উদ্দিনের দীর্ঘদিনের অবদানের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল ড. ওয়ালি তাসার উদ্দিন এমবিই-এর মূল বক্তব্য। তিনি ১৯৭১ সালের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ঐক্য, সেবা ও যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
সলিসিটার সাদিক চৌধুরী এলএল.এম-এর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে এবং পরিশেষে মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন এবং একজন ব্যতিক্রমী কমিউনিটি নেতাকে সম্মান জানানোর এক স্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজন হিসেবে সমাপ্ত হয়।