আজ ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অখণ্ড কিশোরগঞ্জ ও ট্রেনে হামলার বিচার দাবিতে  ছাত্র-জনতার আন্দোলন

নিজস্ব  প্রতিনিধি : ভৈরবে ট্রেনে হামলার বিচার দাবি ও অখণ্ড কিশোরগঞ্জ রক্ষায় শান্তিপুর্ন আন্দোলনে নেমেছে ছাত্র-জনতা।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্যে এ আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়।

আন্দোলনকে সফল ও সার্থক করতে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়ন, কিশোরগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক নাঈম ও শেখ মুদাছির তুশি, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান, জেলা অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সালমান এম সাকিব প্রমুখ।
সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান বলেন, আমরা কোনো বিভাজন চাই না। ভৈরব বা কিশোরগঞ্জ সবাই একই জেলার মানুষ। যারা বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়, তারা এই জেলার শান্তি নষ্ট করতে চায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া বলেন, “অখণ্ড কিশোরগঞ্জ শুধু প্রশাসনিক দাবি নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্য ও পরিচয়ের প্রশ্ন। সম্প্রীতি রক্ষা করতে হলে সবাইকে একসাথে থাকতে হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ভৈরবের ট্রেনে হামলার ঘটনার তদন্ত হোক স্বচ্ছভাবে। যারা এই অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
আন্দোলনে জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়ন বলেন, ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জ জেলার বিভক্তি বা নতুন জেলা ঘোষণার যেকোনো প্রচেষ্টা জেলার ঐক্য ও সম্প্রীতিকে ক্ষুণ্ন করবে। ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দিক থেকে কিশোরগঞ্জ একটি অবিচ্ছেদ্য জেলা। তাই অখণ্ড কিশোরগঞ্জ বজায় রাখা জেলার মানুষের ন্যায্য দাবি।
আন্দোলনের শেষে বক্তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান অখণ্ড জেলার দাবি মেনে নিয়ে কিশোরগঞ্জের মানুষের শান্তি ও ঐক্য অক্ষুণ্ণ রাখতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।

উল্লেখ্য, গত রবিবার সকাল ১০টায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে ৬৫তম জেলা ঘোষণার দাবিতে ভৈরব রেল স্টেশনে রেলপথ অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। অবরোধকারীরা সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব রেল স্টেশনে আটকে দেন। সাড়ে ১১টার দিকে অবরোধকারীদের রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন অবরোধ প্রত্যাহার করতে বললে একটি পক্ষ উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেন। এতে ট্রেনের ক্ষয়ক্ষতিসহ আহত হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। পরে অবরোধকারীরা পৌনে ১২টার রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার করলে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ভৈরব রেল স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বাদী হয়ে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে ইতোমধ্যে তিন জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category