
নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জ পৌরসভার চরশোলাকিয়া ৪নং ওয়ার্ডের দুই বারের কাউন্সিলার, কিশোরগনজ সদর পৌর বিএনপির সিঃ সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সুলতান মিয়ার ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন আনার হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে (স্ট্রোক) ইন্তেকাল করিয়াছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সামাজিক ও রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পৃথিবীতে সবচাইতে কষ্টদায়ক পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। বিষয়টি অনুধাবণ করে, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শোকাহত সুলতান মিয়াকে শান্তনা ও সহমর্মিতা জানান।
আনারের মৃত্যুতে শোকাভিভূত পরিবারের পাশে সহমর্মিতা ও জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন – কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল হোসাইন ও এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সাবেক সহ-সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাবেক জেলা বিএনপির
সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, সাবেক জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আশফাক,
কিশোরগঞ্জ বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাইরুল ইসলাম, সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এ কে এম নাসিম খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মালেক চৌধুরী, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জেলা ইউনিটের সভাপতি শফিক কবীর, নিরাপদ সডক চাই জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান, এছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল, শ্রমিকদলসহ বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শহরের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও অন্যান্য শ্রেনি পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শোক প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ২৪ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে আনোয়ার হোসেন আনার মাথা ঘোরে পড়ে যায়, অবস্থা গুরুতর দেখে দ্রুত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে শোকাভিভূত পুরো এলাকা সহ জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ।
বাদ আছর ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজার নামাজের পর শোলাকিয়া বাগেজান্নাত নূরানী কবরস্থানের পাশে পারিবারিক জায়গায় তাকে সমাহিত করা হয়।
মৃত্যুকালে আনোয়ার হোসেন আনার ছোট্ট দুটি মেয়ে, স্ত্রী, দুই বোন এক ভাই ও বাবা-মা সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন।