নিজস্ব প্রতিনিধি : জীবিকার চেয়ে জীবন বড়, শিশুর টিকা নিশ্চিত করো স্লোগানে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে - শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়ন কার্যক্রমের টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার ও সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য কিশোরগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন ও গণযোগাযোগের পরিচালক সৈয়দ এম. মোমেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত এবং জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. সাইফুল আলম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. দিদারুল ইসলাম।
তথ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন ও গণযোগাযোগের পরিচালক সৈয়দ এম. মোমেন বলেন -টাইফয়েড টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পরীক্ষিত, অনুমোদিত এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত। এই টিকা নেওয়ার মাধ্যমে আমাদের শিশুরা তাদের সম্ভাব্য জীবন-হুমকির রোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখবে। এই টিকা বাহির/ফার্মেসী থেকে কিনতে খরচ হবে প্রায় সাড় তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকার উপরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় দেশব্যাপী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ৫ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে।
কর্মশালায় বক্তারা টাইফয়েড প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. দিদারুল ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জের ৯ লাখ ৫৬ হাজার ৭৭৪ জন শিশুর মধ্যে ইতোমধ্যে ২ লাখ ৯২ হাজারের বেশি শিশু টাইফয়েড টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে। কর্মসূচি চলাকালীন নিবন্ধন ছাড়াও উপস্থিত ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সব শিশুকে ধাপে ধাপে এই টিকার আওতায় আনা হবে।
এ সময় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।