নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ সদর পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আশফাক এর ছোট ছেলে জুলাই যোদ্ধা শহিদুল ইসলাম '''অনিক (২৩)" সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন সামাজিক ও রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ সবচেয়ে বড় কষ্টের বিষয়টি অনুধাবণ করে, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম সংবাদ পেয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে মোবাইলে শোকাহত আমিনুল ইসলাম আশফাককে শান্তনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
অনিকের মৃত্যুতে শোকাভিভূত পরিবারের পাশে সহমর্মিতা ও জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন - ডক্টর’স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শাখার আহবায়ক ডাঃ মোঃ মজিবর রহমান, সংগঠনটির আহবায়ক ডাঃ এস.কে.এম. নাজমুল হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মাসুদ, আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব খালেকুজ্জামান, বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ কে এম নাসিম খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মালেক চৌধুরী, জেলা ইমারত নির্মাণ প্রকৌশলী পরামর্শ কল্যাণ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শফিউল আলম আরজু, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জেলা ইউনিটের সভাপতি শফিক কবীর, নিরাপদ সডক চাই জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান, এছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল, শ্রমিকদলসহ বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শহরের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও অন্যান্য শ্রেনি পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শোক প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ১৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিহত অনিক ও তার বন্ধুরা করিমগঞ্জ তাদের আরেক বন্ধুর বোনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে রাত একটার পর বন্ধু আবু সাঈদের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলো, এসময় কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের জাফরাবাদ বাগান বাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে গিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জ পপুলার হাসপাতালে নিয়ে আসে, অবস্থা গুরুতর দেখে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকায় যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর প্রায় ছয়টায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
তার বন্ধু মোটরসাইকেল চালক উকিলপাড়া টিটু মিয়ার পুত্র আবু সাঈদ গুরুতর আহত হয়ে বুকের ও কোমরের হাড় ভেঙে বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তার মৃত্যুতে শোকাভিভূত পুরো এলাকা সহ জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ।
বাদ আছর শহীদি মসজিদে অনুষ্ঠিত জানাজার নামাজের পর শোলাকিয়া বাগেজান্নাত নূরানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।