নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ও দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে দেশব্যাপী জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী কিশোরগঞ্জে পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় শহরের প্রাণকেন্দ্র পুরান থানা (জুলাই স্বাধীনতা) চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে পদযাত্রাটি জেলার বন্দরনগরী ভৈরব, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর ও কটিয়াদি হয়ে সদরের বড়পুল দিয়ে কিশোরগঞ্জে প্রবেশ করে।
সন্ধার পর কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে বৈষম্যবিরোধী একদফা ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, নাহিদা সারোয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (উত্তরাঞ্চল সংগঠক) খায়রুল কবির, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলার আহবায়ক ইকরাম হোসেন ও সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্সদের নেতৃত্বে জুলাই পদযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে পুরান থানা (স্বাধীনতা চত্বরে) সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এর আগে জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ খন্ড খন্ড মিছিলে সমাবেশে জমায়েত হয়।
সমাবেশে নাহিদ ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন - সংস্কার, বিচার, নতুন সংবিধান ও জুলাই সনদ না হওয়া পর্যন্ত কোন নির্বাচন হতে দেবো না। প্রয়োজনে আবারও আন্দোলনে নেমে তা আদায় করেই নতুন বাংলাদেশ গঠন করা হবে।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আফসোসের বিষয় আমরা নতুন সরকার পেলেও নতুন দেশ এখনও পাইনি। জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ নতুন দেশ না গড়া পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চলতে থাকবে।
গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরও মানুষের অধিকার আদায় হয়নি। সমাজে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। আমরা তো এমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যেখানে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে নাগরিক সুবিধা পৌঁছাবে। প্রত্যেকটা মানুষের নাগরিকের মর্যাদা পাবে। কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার পায়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে শিক্ষক নাই, হাসপাতাল আছে চিকিৎসক নাই, যুব সমাজ আছে কিন্তু কর্মসংস্থান নাই, অনেক বাজেট আছে রাস্তা নাই। আপনাদের এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি মানুষের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কাছে তুলে দিয়েছিল।
এদিকে, এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে কিশোরগঞ্জের পুরো শহর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেন।
সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় এনপিসির নেতৃবৃন্দ কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করে রাতেই নেত্রকোনার পথে যাত্রা করেন।