আলমগীর হোসেন, নিকলী : ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ,দালাল, প্রতারক ও চাঁদাবাজ শেখ উবায়দুল হক সম্রাটকে গ্রেপ্তারের দাবিতে নিকলী বাসির ব্যানারে ভুক্তভোগী স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি ,ব্যবসায়ী সহ সর্বস্তরের মানুষ বৃহস্পতিবার(২৪/০৭/২৫) বেলা ১১ ঘটিকায় নিকলী শহীদ স্মরণিকা বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন বীর বিক্রম চত্বরে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে কারপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জামাল সর্দার বলেন, সম্রাট আমার নিকট ৭ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে । সম্রাটের চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন হুমকিতে আমি অতিষ্ঠ । সদর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ১০ বৎসর কোরিয়া প্রবাসী জীবন শেষে দেশে ফিরে ইট,বালু, পাথরের ব্যবসা শুরু করি। সম্রাটকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। কিছুদিন আগেও আমার নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।এ ব্যাপারে আমি নিকলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোন আইনগত সহায়তা পায়নি । আমার আগেও নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচএ, আলম রিসোর্ট এর ম্যানেজার মোঃ জাহাঙ্গীর এবং মাইজহাটি গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ ইন্নছ আলীর নিকট সন্ত্রাসী সম্রাট চাদা দাবি করে এবং এ ব্যাপারে লিখিতভাবে প্রত্যেকেই সম্রাটের বিরুদ্ধে নিকলী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু অভিযোগকারী ভুক্তভোগীগণ কোন আইনগত সহায়তা পায় নাই। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে সম্রাট নিকলী থানায় দালালি করে থাকে এবং নিকলী থানা অফিসার ইনচার্জের সাথে তার অবৈধ লেনদেন করার সম্পর্ক রয়েছে, আর এ কারণেই সম্রাটের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেও ভুক্তভোগী কোন আইনগত সহায়তা পান না। এ ব্যাপারে নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীগণসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন। বক্তাগণ বক্তৃতায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজির হাত থেকে মুক্তি চায় এবং সম্রাটকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানায়।
লেখাপড়া না জানা সম্রাট ছোটবেলা থেকেই রাস্তায় বসে ক্যালেন্ডার, ভিউ কার্ড, গল্প ,গান ও কবিতার ছোট ছোট বই বিক্রয় করা ছিল মূল পেশা। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী শহীদুল্লাহ শাহ নূর এর আত্মীয়তার সুবাদে সম্রাট নিকলীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির পথযাত্রা শুরু করে। শাহ নূর এর হাত ধরে সম্রাট স্থানীয় সাবেক এমপি আফজাল হোসেন এবং নিকলীর সন্তান ঢাকা মহানগর উত্তর আ’লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানার প্রিয় ভাজন হয়ে ওঠেন। তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থেকে সম্রাট নিকলীতে শুরু করেন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দালালি ,তদবির বাণিজ্য ও প্রতারণা। সম্রাটের অত্যাচার নির্যাতনে নিকলীর মানুষ অতিষ্ঠ। বিগত ৫ই আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর পরই সম্রাট নিজেকে বিএনপি’র কর্মী বলে দাবি করছে এবং সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে জুলুম অব্যাহত রেখেছে।
Leave a Reply