নিজস্ব প্রতিনিধি : রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক "সুজন"।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে সুশাসনের জন্য নাগরিক "সুজনের আয়োজনে কিশোরগঞ্জ আখড়া বাজার ব্রীজ সংলগ্ন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক "সুজন" কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট নাসির উদ্দীন ফারুকী বলেন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহ আশরাফ উদ্দিন দুলাল, মাজহার মান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুকুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আতিয়া হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল হাসান বাদল, ইকবাল বাহার বুলবুল, আশরাফুল ইসলাম, শরিফা আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন - সাম্য, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল, সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। তাই, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের’ দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি। তারা আরও বলেন, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, সাম্য, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। এখন একটি সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে ১৯৯১ সালেও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিন জোটের রূপরেখা ছিনতাই হয়ে যায়। এবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারের পতনের ফলে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেটা যেন ছিনতাই হয়ে না যায়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে সবার, এই সরকারের ব্যর্থতা মানে সবার ব্যর্থতা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভূতপূর্ব কাজ করেছে। তারা জনগণের মুখোমুখি দাঁড়ায়নি, এটি ইতিবাচক। তারা এই ভূমিকা না নিলে সরকারের পতন এত সহজে হতো না। একটি বৈষম্যহীন ও মানবিক সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়ে ছাত্র-জনতা যে পরিবর্তন ঘটিয়েছে, এ জন্য তিনি তাদেরকে অভিনন্দন। ছাত্রসমাজের আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নাগরিক সমাজকে সেই স্বপ্নের জাল বুনে নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়েই ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সুজনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,সারাদেশে সৃষ্ট অরাজকতা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা, নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করা, দ্রুত সংস্কার করাে,গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ো,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে নাগরিকদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দাও, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণমুক্ত করো। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।