নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৪ জুলাই বিপ্লবের অন্যতম মহানায়ক বীর শহীদ আবু সাঈদ কে নিয়ে কটুক্তি ও বিতর্কিত স্লোগান এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের পূনর্বাসনের চেষ্টার প্রতিবাদে এবং জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার ও কটুক্তিকারীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা।
১৮ই ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ছাত্র-জনতার ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়ক ইকরাম হোসেন ও অভি আহমেদ সহ আরও অনেকে। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, শহীদ আবু সাঈদসহ হাজারো শহীদের রক্তে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান। এর সুবিধাভোগী হিসেবে কেউ ডিসি, কেউ সচিব আবার কেউ অন্যান্য লাভজনক পদ পেয়েছেন। তাদেরই একজন কিশোরগঞ্জের ডিসি ফৌজিয়া খান। তাকে মঞ্চে রেখে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে (আওয়ামী লীগের দোসর ও ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের রাজাকারের বাচ্চা বলে বিচার দাবি করে মানববন্ধনকারী) একাধিক মুক্তিযোদ্ধা বক্তব্য দেন। তাঁদের মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এ বি ছিদ্দিক ও ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া বক্তব্য দেন। ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া তার বক্তব্যের পুরোটা সময় ছাত্র আন্দোলনের শহীদ আবু সাঈদকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখেন এবং শেষে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন। তারই প্রতিবাদে জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার ও কটুক্তিকারী ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়াকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচার দাবি করেন তারা। বক্তারা আরও বলেন আমাদের এই শান্তি পুর্ণ কর্মসূচি পালনেও বিভিন্ন মহল থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে, হত্যার হুমকি সহ নানাভিদ ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমরা ভয়কে জয় করেই রক্ত দিতে শিখেছি, শহীদ হতেও শিখেছি। আমাদের এই ২৪ ঘন্টার ভিতরে যদি কার্যকরী পদক্ষেপ বা একশন না নেওয়া হয় তাহলে আবারও আমরা রক্ত দিয়ে হলেও পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের ধোসরদের আর কোথাও প্রতিষ্ঠিত হতে দিব না।
গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান এবং পুলিশ সুপার হাছান মাহমুদের সামনে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তার বক্তব্যের সময় ২৪’এর ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদকে কটাক্ষ করে বক্তব্য ও বিতর্কিত জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply