ছাত্র-জনতা আন্দোলনের অন্যতম আশরাফ আলী সোহানের নেতৃত্বে সোমবার (০২ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে জেলা শহরের শহীদী মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরানথানা চত্বরে গিয়ে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করে যাচ্ছে। হাসিনা ছিলো ভারতের দোসর। ভারত আগে তার মাধ্যমে বাংলাদেশে আধিপত্য বাজায় রেখেছিলো। কিন্তু হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় ভারত এখন বিভিন্ন পন্থায় অস্থিরতা তৈরি করে তার আধিপত্য বজায় রাখতে চাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, ভারত হিন্দুদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মূলক ব্যার্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। আজ আগড়তলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভারতীয় উগ্রপন্থিরা হামলা করে আমাদের রক্তে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা টেনে হিচঁড়ে চিঁড়ে ফেলে দেয়। তারা জানেনা বাংলার প্রতিটি জনগণ রক্ত দিতে প্রস্তুত, প্রয়োজনে আবারও রক্তের বিনিময়ে লাল সবুজের পতাকা ও বাংলার মান-ইজ্জত বজায় রাখবো।
কিন্তু ভারতের জেনে রাখা উচিত এই বাংলার জনগণ তার দোসর হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে, তেমনি ভারতকেও পালিয়ে যেতে বাধ্য করবে। কোনো আধিপত্যবাদের স্থান বাংলাদেশে হবে না। ভারত তার প্রতিবেশী প্রতিটি দেশ থেকে বিতারিত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও জনগণ তাদের বিতারিত করবে। জুলাইয়ের ছাত্রসমাজ আর কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না।
Leave a Reply