নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন মাস পরপর এমন টাকার দৃশ্য দেখা মেলে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে।
এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর ১০টি দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা চলছে গণনা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিতিতে এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তায় টাকা পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা।
টাকা গণনার কাজে ২৮৫ জন মাদ্রাসার ছাত্র, ১০ জন শিক্ষক ও ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তার বিশাল একটি দল কাজ করে যাচ্ছেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা অতিরিক্ত দায়িত্ব মিজাবে রহমত এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ১০ জন সেনাবাহিনীর সদস্য, ২০ জন পুলিশ, ৫ জন র্যাব ও ১৫ জন আনসার রয়েছেন।
পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর মসজিদের ১০টি দানবাক্সে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছে, দিনভর গণনা শেষে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে জমা ও টাকার পরিমাণ জানা যাবে। আর জমাকৃত অর্থ দিয়ে মসজিদের সম্প্রসারণ ও প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হবে একটি দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স ভবন।
Leave a Reply