নিজস্ব  প্রতিনিধি : তথাকথিত নাট্যকার, সমকামিতার পৃষ্ঠপোষক, শাহবাগী, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর এবং ইসলাম বিদ্বেষী অযোগ্যাদেরকে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে ও ফারুকী-বশিরের পদত্যাগ দাবীতে কিশোরগঞ্জে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদি মসজিদ চত্বর থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি সারা শহর পদক্ষিন করে পুনরায় একি স্থানে এসে বিক্ষোভ সভায় মিলিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিনকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বানানো মানে জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে আহত-নিহত হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেইমানি কর।

চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিন গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বিগত ১৬ বছর পর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যার নায়ক খুনি শেখ হাসিনার পতনের পর সাধারণ ছাত্র জনতা ও দেশবাসী একটি সুন্দর সরকার চেয়েছিল, সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে একটি ক্লিন ইমেজ ও সজ্জন ও সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করবেন। কিন্তু আমরা দেখছি ফ্যাসিস্ট সরকারের উপাদান বিদ্যমান, তথাকথিত নাট্যকার, সমকামিতার পৃষ্ঠপোষক, শাহবাগী, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর এবং ইসলাম বিদ্বেষী অযোগ্য ব্যক্তিদের উপদেষ্টা মণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা দুঃখজনক, অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত। বিতর্কিত ও খুনি হাসিনার সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের উপদেষ্টা করায় উপদেষ্টা পরিষদকে করা হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও তার স্ত্রী তিশা বিগত স্বৈরাচার সরকারের আশির্বাদ পুষ্ট হয়ে অনেক সুবিধার ভাগিদার হয়ে আজকে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের বিজয়ের ভাগিদারও নিতে চায় এবং অন্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার ৪৯ নং এফআইআরভূক্ত অন্যতম আসামি এবং আওয়ামী সরকারের এমপির ভাই বিতর্কিত ও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সুবিধাভোগী মুজিববাদ আদর্শের অনুসারীদের উপদেষ্টামণ্ডলী থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানাই। তা,নাহলে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যেভাবে ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়েছে, তারাও পালাতে বাধ্য হবে। যতদিন তারা পদত্যাগ না করবে ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো, আমরা তাদের পদত্যাগ করিয়েই তবে ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।