নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জে আল আমিন (১৫) নামের এক অটোরিকশা চালককে জবাই করে অটোরিকশা ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। তাঁর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ১২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস অটোরিকসা চালক হত্যা মামলায় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই জড়িত আসামী শাহিন মিয়া (২৩)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প।
মামলার বিবরণে ও ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হাই চৌধুরী জানান, গত ১০ নভেম্বর সকাল অনুমান ৭টায় ভিকটিম আলামিন প্রতিদিনের ন্যায় অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ি হইতে বের হয় ঐ দিন সন্ধ্যা ৬টায় ভিকটিমের বোন পিংকী আক্তার(২২) সর্বশেষ মোবাইলে ভিকটিমের সাথে কথা বলে। ঐ সময় ভিকটিম তার বোনকে জানায় যে, সে ভাড়া নিয়ে নান্দাইল থানাধীন সুনামগঞ্জ বাজারে আছে। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ৭.৩০টায় ভিকটিম আলামিন অটোরিক্সা নিয়ে বাসায় ফিরে না আসায় এবং তাহার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ১১ তারিখ সকাল ১০ টার সময় লোকমুখে জানতে পারে যে, কিশোরগঞ্জ সদরের পাচধা গ্রামে একটি গলা কাটা লাশ ধান ক্ষেতে পড়ে আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ আলমগীর হোসেন সহ পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামিনের লাশ সনাক্ত করে এবং সেখানে থানা পুুলিশ সহ বহু লোকজনের সমাগম দেখতে পায়।
পরিবারের ধারনা ১০ তারিখ রাত সাড়ে সাতটার পর কোন একসময়ের মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে তার অটোরিক্সাটি ছিনতায় করে নিয়া যায়।
মামলার পর র্যাব-১৪,সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প অধিকতর ছায়াতদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। ১৩ তারিখ রাত একটায় ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল তাড়াইলের পং পাছিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ শাহিন মিয়া(২৩)কে গ্রেফতার করে।
র্যাব সুত্র আরও জানায়, এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply