নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার তদন্তে প্রাপ্ত সন্ধিগ্ধ আসামী
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফুল মিয়া (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়ে আহত করা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে জেলা সদরের বৌলাই ইউনিয়নের গাবতলী এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের (ভারপ্রাপ্ত) কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম আমিনুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত মোঃ ফুল মিয়া মাইজখাপন চৌধুরীহাটি গ্রামের মৃত মোবারক খা’র ছেলে ও উক্ত ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
উক্ত বিষয়ে মোঃ কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে এই মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৪ আগষ্ট বেলা অনুমান ১১ঘটিকায় তদন্তে প্রাপ্ত গ্রেফাতারকৃত আসামী মোঃ ফুল মিয়া সহ এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামীগন বে-আইনীভাবে দলবদ্ধ হয়ে দা, রামদা, কিরিচ, বল্লম, লোহার রড, হকিস্টিক, পেট্রোল বোমা, ককটেল, পাইপগান, পিস্তল সহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শহরের গাংচিল রেষ্টুরেন্টের সামনে ছাত্র জনতার মিছিলের উপর হামলা করে। এতে বাদী মোঃ কামরুল ইসলাম সহ অনেক ছাত্র জনতা গুরুত্বর আহত হয়। পরে আহত মোঃ কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দণ্ডবিধি ১৪৩/৩২৬/৩৪ ধারায় ১৯০৮ আইনে একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেন।
কিশোরগঞ্জ র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর থেকে ফুল মিয়া ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পালাতক ছিল। মামলার তদন্ত সূত্রে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে সন্ধিগ্ধ আসামী মোঃ ফুল মিয়ার অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামি ফুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে আসামিকে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply