নিজস্ব প্রতিবেদক : নবগঠিত কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের কমিটিকে বিশাল সংবর্ধনা দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী চরশোলাকিয়ার পুর্বাশা ক্লাব।
৮ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে চরশোলাকিয়া ঈদগাহ রোড (রেললাইন সংলগ্ন) পুর্বাশা ক্লাবে স্থানীয় বিএনপির আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফুলেল শুভেচ্ছা ও আলোচনায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আশফাকের সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটির সভাপতি বাংলা ভিশন টিভির জেলা প্রতিনিধি এ কে নাসিম খান, সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি সাইফুল মালেক চৌধুরী, সহ সভাপতি দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি অ্যাড. শেখ মাসুদ ইকবাল, যুগ্ন সম্পাদক জিটিভির জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান চৌধুরী সোহেল ও কোষাধ্যক্ষ ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ফকির মতিকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পুর্বাশা ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও চরশোলাকিয়াবাসী। পরে একে একে সবাইকে পুষ্পমাল্য পড়িয়ে বরণ করে নেওয়া হয় সংবর্ধনা মঞ্চে। শুরু হয় এক আনন্দঘন পরিবেশে ফটোসেশান। ফটোসেশানে বাদ যায়নি বিএনপি সহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের।
পরে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে অংশ গ্রহণ করেন – সংবর্ধিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সহ পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ সাদেক মুকুল, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম রুবেল, সহ-সভাপতি সায়েম সুমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আল আমিন, সাংবাদিক ফারুকুজ্জামান, পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তমাল প্রমূখ।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্যে বলেন – সাংবাদিকরা হচ্ছে জাতির বিবেক।সাংবাদিকদের লেখুনীর মাধ্যমেই দেশ ও সমাজের উন্নয়ন করা সম্ভব। স্বনামধন্য কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির মাধ্যমে আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজের সকল অসংগতি প্রকাশ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করবেন। সেইসাথে আপনাদের কাছে চাওয়া ১৯৭২ সনে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এই পূর্বাশা ক্লাবের উন্নয়নে একটু নজর রাখা ও বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ও পুলিশি হয়রানির স্বীকার এই চরশোলাকিয়ার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। যা বিশ্ববাসীও দেখেছে, মিথ্যে রাজনৈতিক মামলায় পুলিশ পিতাকে না-পেয়ে নাবালক দুই সন্তানকেও ছাড় দেয়নি, টানতে হয়েছে তাদের জেলেরগ্ল্যানী। আর এই দীর্ঘ সময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হয়েছে আমাদের এই এলাকা থেকেই। এগুলোও আপনাদের লিখনীর মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানোর জন্য আবেদন রইলো।
সংবর্ধিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরাও তাদের বক্তব্যে বলেন, সত্যিই আপনাদের ভালোবাসায় আমরা আবেগাপ্লুত ও আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, যা ভাষায় প্রকাশ হওয়ায় মতো না। কিশোরগঞ্জতো দুরের কথা বাংলাদেশের কোথাও এমন সংবর্ধনা আমরা দেখিনি, আপনাদের এই ভালোবাসা মনে থাকবে চিরদিন, ঋণী হয়ে রইলাম এই ক্লাবের প্রতি। যদি কোনদিন সুযোগ হয় ঋণ পরিশোধের তা অবশ্যই করে যাবো আমরা।
এসময় জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply