আজ ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসিম খান, সম্পাদক সাইফুল মালেক চৌধুরী

নিজস্ব  প্রতিনিধি : সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুন মেরুকরণে ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংবিধান অনুযায়ী গঠিত কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্যগণ অসুস্থ্যতাসহ বিভিন্ন কারণে পদত্যাগ করায়, সর্বসম্মতিক্রমে প্রেসক্লাবের আহবায়ক এড.এবিএম লুৎফর রশিদ রানা স্বাক্ষরিত ও আগামী দু’বছরের জন্য অনুমোদিত ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নবগঠিত এ কার্যকরী কমিটি গঠন করেন।

৬ অক্টোবর রবিবার রাতে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে এ নতুন কমিটি ঘোষণা করেন আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম শেখ মাসুদ ইকবাল।
এতে, সভাপতি হিসেবে বাংলা ভিশন টিভির জেলা প্রতিনিধি এ কে নাসিম খান ও সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার প্রতিনিধি সাইফুল মালেক চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্যান্য পদে যাদের নাম প্রকাশ করা হয়- সহ সভাপতি আমাদের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি অ্যাড. শেখ মাসুদ ইকবাল, সহসভাপতি (সহযোগী) অ্যাড.আহসানুল মোজাক্কির, যুগ্ন সম্পাদক জিটিভির জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান চৌধুরী সোহেল, কোষাধ্যক্ষ ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ফকির মতি।
কার্যকরী সদস্যের মধ্যে সাংবাদিক সদস্যে রয়েছে সৈয়দ আল আকিল মোকাররম, শামছুল আলম সেলিম, মোকাররম হোসেন ভূঞা, শাহ আশরাফ উদ্দিন দুলাল,  আমিনুল হক সাদী, কাউছার আহমেদ টিটু। সহযোগী সদস্যে অ্যাড. অনামিকা রেজা রোজী ও নুরুজ্জামান এবং আজীবন সদস্য প্রবীণ শিক্ষক মোহাম্মদ আলী।

উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবটি সাংবিধানিকভাবেই অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু বিগত ২০১৬ সনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের অনুসারীরা অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে দখল করে নেয় ক্লাবটি। শুরু হয় আইনি লড়াই, একপর্যায়ে সীলগালা করে দেয় প্রশাসন।
এভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ৯ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উন্মুক্ত করে দেয় প্রেসক্লাবটি। এতে করে প্রতিদিনই সাংবাদিকগণ প্রেসক্লাবে যাতায়াত শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে সজীব হতে শুরু করে জেলার গনমাধ্যমকর্মীদের অন্যতম প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠানটি।


এদিকে নতুন কমিটি প্রকাশের পরপরই জেলার বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকগণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যাক্তিবর্গ নব গঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, যা এখনো রয়েছে চলমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category