নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জ পৌরসভার চরশোলাকিয়া ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (সদ্য অপসারিত/ক্ষমতা বাতিল হওয়া) মো. সুলতান মিয়ার কিছু আকুতি ও জাতির কাছে প্রশ্ন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপনে জারি হওয়া সকল কাউন্সিলার ও মহিলা কাউন্সিলারদের অপসারণের পর, পদ বঞ্চিত সাবেক পৌর কাউন্সিলার মো. সুলতান মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন বর্তমান সরকারের প্রতিটি কাজ বা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে দেশের স্বার্থে দশের স্বার্থে। রেখে যাওয়া বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসন আমলের সবকিছুতেই নামে সংস্কারের অভিযানে। সংস্কারের প্রথমেই বিনা ভোটে নির্বাচিত সকল এমপি-মন্ত্রী, জেলা পরিষদ, উপজেলা এবং ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সিটি ও পৌর মেয়রদের অপসারণ করে। প্রশাসনের প্রতিটি দপ্তরেই শুরু হয় সাঁরাসী অভিযানে চাকুরিচ্যুত কিংবা রদবদল। বহাল রাখা হয় সকল কাউন্সিলার ও ইউপি সদস্যদের। আমাদের ধারণা বা আশা ছিলো আমরাতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করিনি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে কাউন্সিলার হয়েছি, এখানে হয়তো আর কিছু হবে না, বা হলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের খুঁজে বের করে তাদের ব্যাপারে ব্যাবস্থা নিবেন। কিন্তু সকল আশাই এখন গুড়ে বালি। আমরা দেখেছি সাধারণ ভোটারের রায় সবসময় ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। এই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমরা বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা কত ধরনের হয়রানির স্বীকার হয়েছি তা দেশবাসী জানে। আমাদেরকে পোহাতে হয়েছে, হুমকি-ধমকি, মিথ্যা মামলা, সন্ত্রাসী হামলা, নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে জয় চিনিয়ে নেয়া সহ আরও কত ধরনের জুলুম অত্যাচার হয়েছিল তা দেশবাসীর অজানা নয়।
আমি জেলা বিএনপির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিত দুই বারের জনপ্রিয় কাউন্সিলার। আমি কাউন্সিলার হওয়া স্বত্বেও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দ্বারা একাধিক মিথ্যে মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে দু’বছরের অধিক সময়, সর্বশেষ ছাত্র-জনতার কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় আমাকে অন্যায় ভাবে আটক করে পাঠানো হয় জেল হাজতে, এখানে ১৭ দিন কারাবন্দী থেকে মুক্তি পাই দেশ দ্বিতীয় স্বাধীন হওয়ায়। দেশ দ্বিতীয় স্বাধীন নাহলে হয়তো জেলেই পঁচে গলে মরতে হতো আমার। আমি দেশব্যাপী ও অন্তর্বর্তীকালীন বর্তমান সরকারের কাছে ওপেন প্রশ্ন রেখে বলতে চাই, আমার মতো এমন নির্যাতিত অনেক জনপ্রতিনিধিই আজ ঢালাও অপসারণে এ বৈষম্যের স্বীকার। আমরা ইচ্ছে করলে আন্দোলনে যেতে পারি, কিন্তু সরকারের স্বীদ্ধান্তকেও সম্মান জানিয়ে আমি আমার অধিকার চাই, আমাদের উপর অপসারণের স্বীদ্ধান্ত প্রত্যাহার চাই। অন্তর্বর্তীকালীন বর্তমান সরকার তদন্তের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারী ও দোষীব্যক্তিদের বাদ দিয়ে পুনরায় আমাদের স্বপদে বহাল করবেন এই প্রত্যাশা রাখি দেশবাসীর কাছে।
Leave a Reply