নিজস্ব প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১০ বছর পর কিশোরগঞ্জে বিএনপির বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে এ গণসমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি দিক নির্দেশনামূলক ভাষণ দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জে জনসভা করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর আর জেলায় বড় ধরণের কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি দলটি। এবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ফলে দীর্ঘ ১০ বছর পর এমন বিশাল জনসভা/গণসমাবেশ সফল ভাবে করতে পেরেছে জেলা বিএনপি।
দীর্ঘ সময় পর এই আয়োজনে বেশ উচ্ছ্বসিত জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা, সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে আসতে থাকে খন্ড খন্ড মিছিল। গণসমাবেশকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দের উচ্ছ্বাসের দেখা মিলে সকল শ্রেণির দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়াল) প্রজেক্টের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রধান অতিথি ভার্চুয়াল বক্তব্যে বলেন – দেশের উন্নয়ন হয় গনতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে উল্লেখ্ করে তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ হচ্ছে বিপুল সম্ভাবনার একটি জেলা, এতোদিন দেশে নির্বাচিত সরকার থাকলে এ জেলার উন্নয়ন ও সুনাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতো। এতোদিন হয়েছে শুধু উন্নয়নের নামে লুটপাট। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে, কিশোরগঞ্জ হাওরের ধান, মিঠা পানির মাছ ও পনির উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিশ্বের বুকে পরিচিতির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রপ্তানি করা হবে। সেইসাথে প্রতিটি ঘরে ঘরে সুবিধা সম্পন্ন ফ্যামেলি কার্ড প্রদান করা হবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের পরিচালনায় ও সিনিয়র সহসম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আশফাক এবং হাজী ইসরাইর মিয়ার সঞ্চালনায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জনসভায় বক্তব্য রাখেন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে, জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিগত গণতান্ত্রিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের পরিবার এবং আহত ও বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
Leave a Reply