শফিক কবীর : এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘স্টে ফর ওয়ান পয়েন্ট ডিমান্ড’ নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় চলছে নার্সদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি।
কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন নার্স ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নার্সিং মিডওয়াফারি সংস্কার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির আয়োজনে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
নার্সিং ও মিডওয়াফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার পদ থেকে নন নার্সিং ক্যাডারদের অপসারণ করে ওই পদগুলোতে উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়নের ১ দফা দাবিতে তারা অবস্থান নেন। এ সময় তারা দাবি আদায়ের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন স্লোগান লিখে ব্যানার ও জাতীয় পতাকা হাতে রেখেছিলেন তারা।
উক্ত কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নার্সিং কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন – নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক নার্সিং সুপারভাইজার কামরুন্নাহার, সদস্য উদয় সংকর পাল, রাজিব মিয়া, বোরহান উদ্দিন, উজ্জ্বল মিয়া ও আশেক মিয়া।
বক্তারা বলেন, আমরা বিগত কয়েকদিন ধরেই এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের এক দফা দাবি হচ্ছে, ডিজিএনএম এর মহাপরিচালকের পদত্যাগ ও অন্য সব উচ্চ পদে যে-সব নন নার্সিং ক্যাডার আছেন তাদের অপসারণ করতে হবে এবং ওই সমস্ত পদে যোগ্য নার্সদের পদায়ন দিতে হবে।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কামরুন্নাহার বলেন, ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান নার্সদের জন্য সেবা পরিদপ্তর গঠন করেন। পরবর্তীতে আমাদের এ সেবা পরিদপ্তরটি নার্সিংয়ের লোক দিয়েই পরিচালিত হয়।
কিন্তু, ২০১৬ সালে যখন নার্সিং অধিদপ্তর গঠনের পর থেকেই এখন পর্যন্ত আমলাদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে তাদের কথা ছিল নার্সদের প্রফেশনাল ক্যাডার পদে পদোন্নতি করে অধিদপ্তরের পদ ছেড়ে তারা চলে যাবেন। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছর পর্যন্ত আমাদের কোনো উন্নতি করা হয়নি এবং তারা তাদের কথা রাখেননি। এছাড়াও তারা বদলি বাণিজ্যসহ শাসনের নামে আমাদের শোষণ করে যাচ্ছেন। এসব কারণেই আমরা আমাদের নার্সিংয়ের যারা যোগ্য আছেন তাদের মাধ্যমে পরিচালিত হতে চাচ্ছি।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য আশেক মিয়া বলেন, আমাদের নার্সিং পেশায় সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে এসে চাকরির শেষ সময় পর্যন্ত তারা ওই পদেই থেকে যান। কিন্তু আমাদের বেতন বৃদ্ধি ছাড়াই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার যে বিজয় হয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের এ বৈষম্য দূর করতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন কর্মরত বিভিন্ন নার্স ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply