নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ৫ আগষ্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ককর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়ে পা হারানো কিশোরগঞ্জের মহিনন্দের সন্তান শিক্ষক হাফেজ মাও.জুনায়েদ আহমেদকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলার সফল যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী। শুক্রবার বিকেলে তার গ্রামের বাড়িতে আহতকে দেখতে যান এবং পরিবারের খোজ খবর নেন কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন পরিষদ ও মহিনন্দ ইতিহাস ওইতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী । এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে আর্থিক সহায়তা করেন। অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিনন্দ ইতিহাস ওইতিহ্য সংরক্ষন পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হুসাইন প্রমুখ।
গুলিবিদ্ধ মাও.জুনায়েদ আহমদ জানান, সংসারের একমাত্র উপার্জনশীল আমার সামান্য বেতনের উপর চলতো পুরা পরিবার। সেদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন,এভাবে পুলিশ আমাদের উপর গুলিবিদ্ধ করেছিল যে সাথের একজন শহীদ হন, আমি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে পংগু হাসপাতে অনেক দিন চিকিৎসাধীন ছিলাম। ডাক্তার আমার একটি পা কেটে ফেলেন। মানুষের দুয়ায় বেঁচে আছি।
আহতের প্রতিবন্ধী পিতা হাবিবুর রহমান ও অসুস্থ মাতা হাসিনা খাতুন ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় চিন্তিত ও উদ্ধিগ্ন দেখা যায়। তারা জানান দু বোনের ও এক ভাইয়ের সংসারের খরচ চালাতেন সে। একটি কওমী মাদরাসার শিক্ষক হিসেবে যে সামান্য টাকা পেতেন তা দিয়েই চলে তাদের ৫ সদস্যার পরিবার। ৫ আগষ্ট ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি থেকে পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা। তার চিকিৎসার খরচ ও সংসারের খরচ কিভাবে চালাবেন তা নিয়েই আমরা চিন্তিত । বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি এমনিতেই একজন শারিরিক প্রতিবন্ধী আমার স্ত্রীও গুরুতর অসুস্থ। এই অবস্থায় ছেলের চিকিৎসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। ছেলের চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি।
Leave a Reply