নিজস্ব প্রতিবেদক : পোল্ট্রি শিল্পের বর্তমান সংকট ও সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের প্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জে খামারীদের আলোচনা সভা ও নবগঠিত আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় শহরের গাইটালে বাংলাদেশ পোল্টি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
বাংলাদেশ পোল্টি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক মো: সাদেকুর রহমান সাদেকের সভাপতিত্বে ও খামারী শহিদ মল্লিকের পরিচালনায় অন্যন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব মো: রফিকুল ইসলাম,খামারী হাফেজ মাও.রাশিদ আহমেদ,স্কয়ারের ডাঃ নাজিম উদ্দিন , খামারী আ.ওয়াদুদ, মানিক মিয়া প্রমুখ। গত ১১ মে বাংলাদেশ পোল্টি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ শাখার ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে প্রেরণ করলে গত ১৫ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহ হাবিবুল হক তা অনুমোদন দেন।
সভায় খামারিরা বলেন, পোল্ট্রি সেক্টরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মসংস্থান খাত। কিশোরগঞ্জ জেলায় প্রায় ৫৫০০টি খামার ছিলো। কোভিড-১৯ এর ২ বছরে এ সেক্টরে খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আবার একটু একটু করে ঘুরে দাড়াচ্ছিলো তখন থেকে পোল্ট্রি খাদ্যের মুল্য অস্বাভাবিকভাবে বার বার বৃদ্ধির কারণে খামারীরা ডিম ও মুরগীর ন্যায্যমুল্য না পাওয়ায় সারা দেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জ জেলায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার খামার বন্ধ হয়েছে। জেলায় পোল্ট্রি শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ৩ লক্ষ লোক। এরমধ্যে রয়েছে পোল্ট্রি খামার, পোল্ট্রি খাদ্য বিক্রেতা, ওষুধ বিক্রেতা, খাচা বিক্রেতা, পরিবহন, শ্রমিক ইত্যাদি। জেলার খামারীরা খাদ্রের দাম কমানোসহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টার কাছে প্রান্তীক খামারীদের দূরবস্থা অস্থিরতা ও অসহায়ত্ব থেকে তারা হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের এবং দেশে বন্যায় বানবাসী মানুষের জন্য দুয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বৌলাই ঈদগাহ মাঠের ইমাম হাফেজ মাও রাশিদ আহমেদ। এ সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েক শতাধিক খামারী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply