নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডবাসির দুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘদিন থেকে ওই ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। তার সাথে খানাখন্দে ভরে গেছে মহল্লার ছোট বড় রাস্তাগুলো। রাস্তা ও ড্রেন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে ওই ওয়ার্ডে।
এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে গুলশান মোড়ের এলাকাবাসী।
১০ জুলাই বুধবার সকালে স্থানীয় কাউন্সিলারের উপস্থিতিতে কাজ শুরু করেছে পৌরসভার লেবার মিস্ত্রি।
এদিকে শোলাকিয়া গুলশান মোড়ে দীর্ঘদিন ড্রেন পরিস্কার না করায় তা ময়লা আবর্জনায় ভরে গিয়ে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে ড্রেনের ময়লা সহ পানি রাস্তার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণে ওই পথ দিয়ে স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে ও মসজিদের মুসল্লিসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করতে কষ্ট হয়। তাছাড়া ড্রেনে জমানো কালো পানিতে জন্ম নিচ্ছে ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের পোকা।
গুলশান মোড়ের বাসিন্দা ও দোকানদার জমুন মিয়া জানান, নতুন রাস্তায় কালভার্ট করার সময় ভিতরের সেন্টারিংয়ের কাঠ-বাঁশ রেখেই চলে যায় কন্ট্রাক্টর। যার ফলে ড্রেনের ময়লা ও মাঠি জমে একদম বন্ধ হয়ে গেছে কালভার্ট। তাতে বৃষ্টি ও বাসাবাড়ির পানি ড্রেনেই জমে রাস্তার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা প্রায় বেশ কয়েক মাস ধরেই চলে আসছে। আমরা মহল্লাবাসি বিষয়টি পৌর কাউন্সিলর মো: সুলতান মিয়াসহ বিভিন্ন জনের মাধ্যমে মেয়র মাহমুদ পারভেজ সাহেবকে বলার পরও কোন ব্যবস্থা হয়নি। এতে আমরা চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছি। বাসার শিশুরা ঘরের বাইরে বের হতে পারে না। ড্রেনের দুর্গন্ধময় ময়লা পানির কারনে অনেক কাস্টমার খাবার খেতেও রুচি কাজ করে না। আজ দেখা যায় কাউন্সিলার সাহেব লেবার মিস্ত্রি লাগিয়ে পানি চলাচলের জন্য কাজ করছে। অথচ আমরা পৌর কর ও ট্যাক্স সবেই দিয়ে আসছি কিন্তু সময়মত পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
এ ব্যপারে ওয়ার্ড কাউন্সিলার মো: সুলতান মিয়া বলেন, আমি এই ওয়ার্ডের সবই জানি, এর আগেও আমি বেশ কয়েকবার লেবার দিয়ে লাইন পরিস্কার করার চেষ্টা করেও লাভ হইনি ভিতরের সবটুকুই ভরাট হয়ে গেছে। আমি মেয়র মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে কালভার্টের স্লাভটি ভাংগার স্বীদ্ধান্ত নিয়ে আজ মেশিন সহ লেবার দিয়ে সম্পুর্ন পরিস্কার করার জন্য কাজ করছি। ওয়ার্ডের এই সমস্যাও দ্রুত সময়ে সমাধান হবে।
Leave a Reply