নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেইসবুকে পরিচয় ও প্রেম, দেখা করতে গিয়ে ধরা, নানাবিধ চাপে অপরিণত বয়সেই বাল্য বিয়ে।
ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় রাত আড়াইটার সময় প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে করিমগঞ্জের এক যুবক আটক।
জানাযায়, মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন করিমগঞ্জের এক যুবকে আটক করে তার অভিভাবক পক্ষকে খবর পাঠান।
আটক যুবকের নাম রাতুল (১৮)। সে করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের নানশ্রী গোলাপদিহাটি গ্রামের অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে।
প্রেমিকা জিনিয়া আক্তার (১৬) কুমারপুর গ্রামের কাতার প্রবাসী খায়রুল ইসলামের মেয়ে।
ঘটনার খবর পেয়ে হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন হিমেল ও সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বোরহান উদ্দিন উপস্থিত থেকে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাতার প্রবাসী খাইরুল ইসলাম দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছেন।
অপরদিকে ছেলের পিতৃ পরিচয় নিয়েও রয়েছে মুখরোচক সমালোচনা। জয়কা ইউনিয়নের নানশ্রী গোলাপদিহাটি গ্রামের স্থানীয় লোকজন জানান, ছেলে যাকে বাবা বলে জানে তিনি আসলে তা নন। তার বাবা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে শারীরিক সম্পর্কের ফলে প্রেমিকা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তিনি কৌশলে দেশ ছেড়ে প্রবাসে চলে যান। পরে স্থানীয় মাতব্বরদের চাপে গর্ভবতীর সাথে মামুনের অনুপস্থিতে তার বড় ভাই আল আমিনের বিয়ে দিয়ে দেন। সেই আলামিনের ঘরেই রাতুলের জন্ম, তাই ছোট থেকে তাকেই বাবা জেনে আসছে। কিন্তু পারিবারিক ভাবে রাতুলের যাবতীয় খরচ বহন করতেন তার সত্যিকারের জন্মদাতা অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ঘটনার দিন অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী রাতুলের সৎ মা উম্মে ফাতেমা রোজী ছেলেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য তদবির করেন কিন্তু ছেলে বিয়েতে অনড় থাকায় তার ফুফা সাইফুল আলম পল্টন ও খালু জালাল উদ্দিন কে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে আনেন।
পারিবারিক অসন্তোষ ও অবহেলার কারণে বিকল্প আশ্রয় খুঁজতে গিয়ে জড়িয়ে গেছেন বলে রাতুল এ প্রতিবেদককে জানান। তিনি আর পৈত্রিক পরিচয় জটিলতায় ফেরত যেতে চান না।
কথিত পিতা আল আমিনের নিষ্ঠুর নির্যাতন এবং দুই ফুফু মারিয়া ও সুমির অমানবিক অত্যাচারের কাছে আর ফেরত যেতে রাজি হয়নি আটককৃত রাতুল।
Leave a Reply