নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের দখলে ভোটের মাঠ, জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু।
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর ৪র্থ ধাপে আগামী ৫ জুন ভৈরব উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
নির্বাচনী তফসিল ও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও আইবি রহমান এর আস্থাভাজন, বর্তমানে সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন এর পরিক্ষিত রাজনৈতিক সফল যোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু।
ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষিত,সৎ-পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সেন্টুর এলাকায় রয়েছে ব্যপক গ্রহণযোগ্যতা। বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছেও সমান জনপ্রিয় তিনি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও আমার অবিভাবক ভৈরব-কুলিয়াচর আসনের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, বর্তমানে সংসদ সদস্য তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান পাপন এর দিক নির্দেশনা মেনে সবসময় ভৈরব উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আওয়ামী সরকারের সকল সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছি। আর স্বাধীনতা-পূর্ব সময় থেকে সেখানে আওয়ামী নেতৃত্বে পরিবারটির একক নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। আমার অবিভাবক নাজমুল হাসানের আশীর্বাদ নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করেছি। আমার বিশ্বাস ৫ তারিখের নির্বাচনে জনগণ ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। আর আমি নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করবো এবং সকল প্রকার প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে কাজ করবো। অতীত ও বর্তমানে যেভাবে সকলের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলাম। ঠিক তেমনি ভাবেই মানুষের পাশে থাকবো। এছাড়াও আমার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জনগণের ঘরে ঘরে নাগরিক সেবা পৌঁছে দেওয়া। স্মার্ট হবে ভৈরব স্মার্ট হবে বাংলাদেশে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থীর চারজনই আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। একজন যুবদল নেতা। ভোটের আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী মাঠে প্রচার প্রচারণা বন্ধ থাকলেও ভোটারদের মুখে মুখে সেন্টু ভাইয়ের ঘোড়া মার্কা।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিকারী প্রার্থীদের মধ্যে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, তাঁর প্রতীক ঘোড়া। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর লড়ছেন কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে। আওয়ামী লীগের সদস্য মোশতাক আহমেদের প্রতীক কই মাছ। আর আনারস প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অলিউল ইসলাম ও উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব আল মামুনের প্রতীক মোটরসাইকেল।
তবে ভোটের চার দিন আগে গত শুক্রবার
যুবলীগের আহ্বায়ক অলিউল ইসলাম ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে মাঝে একদিন কিছুটা নীরব থেকে অলিউল ইসলাম এবং দলের অনেক নেতাকর্মী নীরবতা ভেঙে ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়েছেন। তবে ঘোড়ার সমর্থকদের এই দাবি মানতে নারাজ আবুল মনসুর ও মোশতাক আহমেদের সমর্থকেরা।
Leave a Reply