নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের চারটি উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৯মে বুধবার।সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ।
উপজেলা ৪ টি হলো করিমগঞ্জ, তাড়াইল, ইটনা ও মিঠামইন। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি উপজেলায় বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। সকালের শুরুতে ভোটারদের উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ করা গেছে। ৪টি উপজেলার কোথাও তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি। নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৪টি উপজেলায় ঘোষণা করা হয়েছিলো সাধারণ ছুটি।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় জোরালো পদক্ষেপ, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেয়া হয় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। যার ফলে, ভোটাররা শান্তিপুর্ণভাবে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন।
তাতে, করিমগঞ্জ উপজেলায় ভোট কাস্টিং হয়েছে ৪১%, তাড়াইল উপজেলায় ভোট কাস্টিং হয়েছে ৪৯%, ইটনা উপজেলায় ভোট কাস্টিং হয়েছে ৪৬% ও মিঠামইন উপজেলায় ভোট কাস্টিং হয়েছে ৩৯%।
এরমধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা মোজাম্মেল হক খান মাখন, তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউল আলম জনি দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৪৮ ভোট।
তাড়াইল উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন টানা ২য় বারের মত বর্তমান চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহিন, তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লাকী মোটর সাইকেল প্রতীকে ৩২ হাজার ৪৫২ ভোট।
ইটনা উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান চৌধুরি কামরুল হাসান, তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট আবুল কাউছার খান মিলকী মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৮০০ ভোট।
মিঠামইন উপজেলায় টানা ২য় বারের মত চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম, তিনি মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৬৪ ভোট।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ জানান, ৩য় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দশনা দেয়া হয়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় জোরালো প্রস্তুতি। র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার বাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন ছিলো। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রেই পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন ছিলো।
Leave a Reply