নিজস্ব প্রতিনিধি : তাড়াইল উপজেলা নির্বাচনে ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী, কোনকিছুতেই ছাড় দিতে নারাজ লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টি (জাপা)।
আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। তাড়াইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চারজন থাকলেও দুজন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বাকি দুই প্রার্থীর মধ্যে চলছে হাড্ডা হাড্ডি ভোটের দ্বিমুখী লড়াই।
চেয়ারম্যান প্রার্থী দু’জন হলেন – জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী, বর্তমান চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভূঞা শাহীন লাঙ্গল প্রতীকে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন লাকী মটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দু’জন প্রার্থীর সমর্থকগণ দিনরাত সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে প্রচার প্রচারণা।
সরেজমিন তাড়াইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও চায়ের দোকানগুলোতে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজার, অলিগলিসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। প্রতিদিন গণসংযোগ মিছিল মিটিং ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে। জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা।
লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভূঞা শাহিন জানান, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর দলমত নির্বিশেষে কে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এটা কখনো দেখিনাই সবসময় সকলের ডাকে সারা দিয়েছি। সকল শ্রেণীর মানুষের বিপদ-আপদে এগিয়ে গিয়েছি। কেউ মারা গেলে তার জানাজায় গিয়েছি, যেকোনো ধরণের সভা, সমাবেশ, সালিশসহ সকল ক্ষেত্রে আমি যে পরিশ্রম করেছি মহান আল্লাহ আশা করি কবুল করবেন। তিনি আরো বলেন, আমার যে প্রতিপক্ষ আছে আওয়ামীলীগের দোহায় দিয়ে লাঙ্গলের কর্মী সমর্থকদের হুমকি-দুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন এবং প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
মটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী, গিয়াস উদ্দিন লাকী জানান, আমি তাড়াইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রতিটি এলাকায় গিয়েছি, সাধারণ মানুষের ডাকে সারা দিয়েছি, আমার সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্ঠা করেছি, যার ফলে সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবার আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য। আমার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য লাঙ্গল প্রতীকের এমপি, তিনি (এমপি) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক দিয়েছেন। রাজনৈতিক কোনো প্রভাব বা সরকারী কোনো বরাদ্ধের মাধ্যমে আমার নির্বাচনের মধ্যে প্রভাব না ফেলতে পারে তারজন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন লাকী।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের তাড়াইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এ ছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আল মামুন জানান, আমি শতভাগ আশাবাদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে সুন্দর, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। কোনো অরাজকতার সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন নির্দেশিত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের উপর আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। শ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে চাই।
Leave a Reply