নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর বাজারে বিউটি পার্লার থেকে চুরি হওয়া ৮ মাসের শিশুটি পুলিশের সহযোগিতায় মায়ের কোলে আসে শিশু নূর মোহাম্মদ।
১৫ মে বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. আল আমিন হোসাইন সাংবাদিকদের জানান,
১১ মে বিকাল ৩টা। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর বাজারে নিজের বিউটি পার্লারে কাজ করছিলেন লিপি আক্তার শান্তা (৩৫)। মায়ের পাশেই খেলা করছিলো দুই শিশুসন্তান সাইফা (৮) ও নূর মোহাম্মদ (৮ মাস)।
স্থানীয় বাসিন্দা গার্মেন্ট কর্মী প্রীতি আক্তার (২৪) পার্লারে ঢুকে গল্প জুড়েন লিপি আক্তার শান্তার সঙ্গে। গল্প-গুজবের এক ফাঁকে প্রীতি আক্তার কোলে নেন শান্তার ৮মাসের শিশুপুত্র নূর মোহাম্মদকে।
এক ফাঁকে শিশুটিকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় প্রীতি আক্তার। শুরু হয় সন্তানহারা মায়ের কান্না।
কোনভাবেই শিশুসন্তানের খোঁজ না পেয়ে মা লিপি আক্তার শান্তা বিষয়টি জানান বাজিতপুর থানা পুলিশকে। শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ।
টানা তিন দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে লালমনিরহাট জেলা সদর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এবং অপহরণের সঙ্গে যুক্ত গার্মেন্ট কর্মী প্রীতি আক্তার ও আতিকুল ইসলাম আতিক (২৪) নামে এক রডমিস্ত্রীকে আটক করা হয়।
পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উদ্ধার করা শিশুটিকে তার মা লিপি আক্তার শান্তার কোলে তুলে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম (বার)।
পরম মমতায় দু’হাত বাড়িয়ে দিয়ে গর্ভধারিণী মা কোলে তুলে নেন তার সন্তানকে। প্রিয় সন্তানকে ফিরে পেরে আপ্লুত হন মা লিপি আক্তার শান্তা।
এ সময় পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার, পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. আল আমিন হোসাইন, বাজিতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, বাজিতপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান বিপিএম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শাহীন সরদারসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply